|| আনন্দ সারাবেলা প্রতিবেদক ||
জনপ্রিয় অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদির ৬৮তম জন্মদিন আজ (২৯ মে)।১৯৫২ সালের এই দিনে ঢাকার নারিন্দায় জন্মেছিলেন বহুমাত্রিক এই অভিনেতা।
জীবনের সর্বক্ষেত্রে নিজের মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। পড়াশুনায় অর্থনীতি বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে স্নাতক সম্মান পরীক্ষা পাস করে পেশা হিসেবে বেছে নেন অভিনয়কে।
অভিনয়ের শুরুটা জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মঞ্চ নাটকের মধ্যদিয়ে।এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। নিজের আলো দিয়ে মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে সমানতালে দর্শক মাতিয়েছেন বরেণ্য এই অভিনেতা।
টিভি নাটকে প্রথম অভিনয় করেন আতিকুল হক চৌধুরীর প্রযোজনায় ‘নিখোঁজ সংবাদ’-এ। এছাড়া তার উল্লেখযোগ্য টিভি নাটকের মধ্যে রয়েছে, ‘একদিন হঠাৎ’, ‘চাঁনমিয়ার নেগেটিভ পজেটিভ’, ‘সংশপ্তক’, ‘পাথর সময়’, ‘দুই ভাই’, ‘শীতের পাখি’, ‘সংশপ্তক’, ‘কোথাও কেউ নেই’, প্রভৃতি। তার অভিনীত বেশ কয়েকটি চরিত্রের মধ্য দিয়ে কিছু চরিত্র দর্শকদের হৃদয়ে গেঁথে আছে। যেমন ‘সংশপ্তক’ ধারাবাহিকে কানকাটা রমজানের কথা।
হুমায়ুন ফরীদির প্রথম বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘সন্ত্রাস’ এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমেই তার মাধ্যমে খলনায়ক চরিত্র শুরু হয়। এছাড়া তার অভিনীত জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে ‘পালাবি কোথায়’ ,‘ভণ্ড’, ‘ব্যাচেলর’, ‘শ্যামলছায়া’, ‘জয়যাত্রা’, ‘একাত্তরের যীশু’, ‘মায়ের মর্যাদা’ ও ‘বিশ্বপ্রেমিক’ । হুমায়ুন ফরীদি অভিনীত শেষ ছবি উত্তম আকাশের ‘এক জবানের জমিদার, হেরে গেলেন এবার’। ছবিটি ২০১৬ সালের ২৬ আগস্ট মুক্তি পায়।
খল অভিনেতার চরিত্রে সফল অভিনেতা হয়েও এই শাখার কোন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার না থাকায় জুটেনি এই সম্মান। তবে ‘মাতৃত্ব’ ছবির জন্য সেরা অভিনেতা শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ২০০৪ সালে।
ব্যক্তিগত জীবনে প্রথমে বেলি ফুলের মালা দিয়ে ফরিদপুরের মেয়ে মিনুকে বিয়ে করেন। তখন এ বিয়ে সারা দেশে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। সেই ঘরে তাদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। নাম দেবযানি। পরে এই সংসারে বিচ্ছেদ ঘটলে ঘর বাঁধেন প্রখ্যাত অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফার সঙ্গে। কিন্তু এই সংসারেও ২০০৮ সালে বিচ্ছেদ হয়। তারপর একাকীত্ব জীবন কাটাতে কাটাতে ২০১২ সালে ১লা ফাল্গুন (১৩ ফেব্রুয়ারি) চলে গেছেন না ফেরার দেশে।
সংবাদ সারাবেলা/এসএম