|| সারাবেলা প্রতিনিধি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ||
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষকদের ই মেইলে হত্যার হুমকি দিয়েছেন একই বিভাগের এক শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থি মেয়েটি নিজের ও তার বাবার পরিচয় ব্যবহার করে লাগাতার এসব ই মেইল করে বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।মেয়েটির বাবার ই মেইল থেকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, ‘আমার মেয়েকে শিক্ষক না বানালে ফল খারাপ হবে। আমার ক্ষমতা অনেক দূর পর্যন্ত।’
মঙ্গলবার ১২ই জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় সাধারন ডায়েরি করেছেন সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ছাদেক হোসেন মজুমদার। ই-মেইলগুলোয় ঐ শিক্ষার্থীকে শিক্ষক বানানোর জন্য এবং সিজিপিএ চারে চার দিতে বিভাগীয় শিক্ষকদের হুমকি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা। এমনকি উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে অবস্থানরত শিক্ষকদেরও এই ইমেইল করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, asmaafiacoupharma@gmail.com ও advsamadcumilla@gmail.com ই-মেইল থেকে ২০১৯ ও ২০২০ সালের বিভিন্ন সময়ে হুমকি দেয়া হয়। চলতি বছরের ২ ও ৯ই জানুয়ারি আবারো বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সৈয়দ কৌশিক আহমেদের ই-মেইলে অরুচিকর ও অশোভনীয় শব্দ ব্যবহার করে এবং বিভাগের শিক্ষকদেরকে ই-মেইলের মাধ্যমে কে বা কারা হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। এবার হুমকি থেকে রেহাই পায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান ও অভিযোগপত্র দায়েরকারী মোহাম্মদ ছাদেক হোসেন মজুমদার বলেন, বিভিন্ন সময়ে ইমেইলের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে, আমরা আগেও থানায় জিডি করেছি তবুও এটা বন্ধ হয়নি। এ পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার স্যারকেও হুমকি দেয়া হচ্ছে। পরে রেজিস্ট্রার স্যারের মৌখিক আদেশে আমরা মামলা করেছি।
এসব হুমকি ধামকির ঘটনায় ফার্মেসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সৈয়দ কৌশিক আহমেদ বলেন, দীর্ঘ দিন দুইটি মেইল আইডি থেকে আমি সহ বিভাগের সকল শিক্ষকদের হুমকি দিয়ে আসছে। পরিবারের সদস্যদের গুম করার হুমকি দিচ্ছে। এমন ঘটনায় আমরা দুশ্চিন্তা ও বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছি।
এ ব্যাপারে ঐ ছাত্রীর বাবা আব্দুস সামাদ বলেন, আমি বা আমার মেয়ে কোনভাবেই এমন ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নই। আমিও এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘তারা আমাদের কাছে আবেদন করেছে মামলা করার জন্য। আমরা সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করার জন্য এজাহার দাখিল করে এসেছি। গত পরশুদিন আমাদের একজন কর্মকর্তা জি এম দাখিল করে এসেছেন এবং তারা তদন্ত করে এটিকে আইনের আওতায় ফেলে মামলা হিসেবে নেবেন।’