বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু ২৪শে মে থেকে

চলতি বছরের ১৭ই মে থেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল খুলে দেওয়া হবে। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্লাস শুরু হবে আগামী ২৪শে মে থেকে।

|| সারাবেলা প্রতিবেদন ||

চলতি বছরের ১৭ই  মে থেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল খুলে দেওয়া হবে। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্লাস শুরু হবে আগামী ২৪শে মে থেকে। সোমবার ২২শে ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টায় দেশের শিক্ষা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওইসভায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার পরিস্থিতি আছে কি না তা পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।  

আগামী পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যেই আন্ত:মন্ত্রণালয় সভা করে বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। সোমবার দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে তিনি সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান। মন্ত্রিসভার বৈঠকটি ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছর ১৭ই মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। যদিও কয়েকমাস আগেই খুলে দেয়া হয়েছে দেশের সব কওমী মাদ্রাসা। যেখানে কয়েক লাখ শিক্ষাথীর্ পড়াশুনা করছে। কওমী মাদ্রাসা খুলে দেয়া হলেও খোলা হচ্ছে না দেশের সাধারন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে কয়েক দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে এই ছুটি। সবশেষ ছুটি বাড়িয়ে ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও গতবছর ১৭ই মার্চ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর অনলাইনে ক্লাস শুরু হলেও শিক্ষার্থীদের হলে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এ পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে হল খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তালা খুলে হলে ঢুকে পড়েছেন। সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে হল ছাড়বার নির্দেশ দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করে এখনো হলেই অবস্থান করছেন তারা। হলে ফেরার জন্য সোমবার আন্দোলন শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের শিক্ষার্থীরাও।

দেশের উচ্চ শিক্ষা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী, ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহও উপস্থিত রয়েছেন।

সংবাদ সারাদিন