প্রতিদিন ক্লাস হবে না
|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||
আসছে ৩০শে মার্চ থেকে স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে শুরু থেকেই প্রতিদিন ক্লাসে যেতে হবে না শিক্ষার্থীদের। ঢাকায় সচিবালয়ে এক আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এতথ্য জানিয়ে বলেন, “দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৩০শে মার্চ খুলে দেয়া হবে। তবে সব শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের এখনই প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হবে না।”
প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে গত বছর সতেরই মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। পরে মাঝে কওমি মাদ্রাসাগুলো খোলার অনুমতি দেয়া হলেও অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে দেয়নি সরকার।
সর্বশেষ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে এরই মধ্যে বাতিল হয়ে গেছে ২০২০ সালের জেএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এই দুই শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়েছে অটোপাস। এছাড়া অন্যসব শ্রেণীতে বার্ষিক পরীক্ষা না হওয়ায় এসব শিক্ষার্থীকেও ‘অটোপাস’ দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হবে ২৪শে মে থেকে
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আগামী ২৪শে মে থেকে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৪শে মে’র সাতদিন আগে অর্থাৎ ১৭ই মে থেকে আবাসিক হলগুলো খুলে দেয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী শনিবার জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে প্রায় এক লাখ ত্রিশ হাজার আবাসিক শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হবে।
কোন ক্লাসের শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে কয় দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাবে
শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা এবং উচ্চ মাধ্যমিকের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদেরকে শুরুতে প্রতিদিন ক্লাস করতে হবে। আর বাকী ক্লাসগলোতে হয়তো শুরুতে একদিন করে প্রথমে আসবে এবং কয়েকদিন পর থেকে দুদিন করে আসবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে স্বাভাবিকের দিকে নিয়ে আসা হবে। এর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আগে সব শিক্ষক ও কর্মচারীদের টিকা দেয়ার কাজ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ৬০ কর্ম দিবসের ও এইচএসসির জন্য ৮০ কর্ম দিবসের সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। তাদের সে অনুযায়ী ক্লাস করাতে সপ্তাহে ৬ দিন ক্লাসে আনার চেষ্টা নেবেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক ভাবে একদিন করে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসবে এবং করোনা পরিস্থিতি দেখে পরে ক্রমান্বয়ে সেটি বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি। রোজার মাসে পাঠদান প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “রোজার সময় পুরো সময়ে ছুটি থাকবে না। এমনিতেই অনেক সময় চলে গেছে। আমরাও ছোটবেলায় দেখেছি শুধু ঈদের সময় ছুটি থাকত। এবারও আমরা তেমনটা করতে চাই।”
