|| সারাবেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ ||
গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) স্বাক্ষর জাল করে আড়াই লাখ টাকা উত্তোলন ও অপরাধী সনাক্ত হওয়ার পর মাস পেরিয়ে গেলেও কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কোন পদক্ষেপ নেয়নি ব্যাংক-কর্তৃপক্ষও। বিগত সময়ে বিশ^বিদ্যালয়ে বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এবার জালিয়াতীর বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কালক্ষেপণের কারণে নানা ধরণের প্রশ্ন জেগেছে জনমনে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. হাসিবুর রহমান জানিয়েছেন, গত ৩ নভেম্বর তারই স্বাক্ষর জাল করে একটি বাহক চেকের (নং ৭৯৯৪৩৬৬) মাধ্যমে অগ্রণী ব্যাংকের গোপালগঞ্জ শাখা থেকে বিভাগের উন্নয়ন তহবিল (হিসাব নং ০২০০০১১৬৯৩৩৩৯) থেকে আড়াই লাখ টাকা তুলে নেয়া হয়। এরপর ব্যাংকের সিসিটিভি’র ফুটেজসহ অন্যান্য পর্যবেক্ষণ শেষে পরদিন তারই বিভাগের অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর মোঃ আবু সাঈদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবরে চিঠি দেন। এছাড়াও চেক জালিয়াতীর সঙ্গে ব্যাংক-কর্মকর্তার জড়িত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ব্যাংকের গোপালগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপককেও চিঠি দেন তিনি।
এব্যাপারে অগ্রণী ব্যাংকের গোপালগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপক সমর কুমার রায় বলেন, তার ব্যাংকের কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বা এর দায়-দায়িত্বও ব্যাংক-কর্তৃপক্ষের নয়। স্বাক্ষরে মিল পাওয়ার কারণেই চেকের বাহককে টাকা প্রদান করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার ড. মোঃ নূরউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কম্পিউটার অপারেটর মোঃ আবু সাঈদ গত ৫ ও ৯ নভেম্বর টাকাগুলো ফেরত দিয়েছে। ১২ নভেম্বর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সে জবাবও দিয়েছে। তারপরও এব্যাপারে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ডিন প্রফেসর রাফিকুন্নেছা আলীকে প্রধান এবং ডেপুটি রেজিষ্ট্রার মোঃ মোরাদ হোসেনকে সদস্য সচিব করে পাঁচ-সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দেয়া তিন কর্মদিবসের সময়সীমা শেষ হয়েছে গত ২৯ নভেম্বর। তদন্ত কাজ শেষ করতে আরও পাঁচ কর্মদিবস সময় বাড়ানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।