|| সারাবেলা প্রতিবেদন ||
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ এর মধ্যে খোলা থাকবে ব্যাংক ও শেয়ারবাজার। বৃহস্পতিবার থেকে ২১শে এপ্রিল পর্যন্ত ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ এ ব্যাংকে লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত। ব্যাংক খোলা রাখা যাবে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। মন্ত্রিপরিষদের অনুরোধে বাংলাদেশ ব্যাংক মঙ্গলবার নতুন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আজ মঙ্গলবার বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংক সেবা প্রদানের অনুরোধ জানিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দেয়। ওই চিঠি পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছিল, ১৪ থেকে ২১শে এপ্রিল ব্যাংক শাখা বন্ধ থাকবে। তবে বন্দর এলাকার ব্যাংক শাখা খোলা রাখা যাবে।
ব্যাংক খোলা সংক্রান্ত নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রতিটি ব্যাংকের উপজেলা শহরের একটি শাখা খোলা থাকবে রোববার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার। আর সিটি করপোরেশন এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে একটি শাখা প্রতি কর্মদিবস খোলা রাখতে হবে। এ ছাড়া প্রধান শাখাসহ বৈদেশিক মুদ্রায় অনুমোদিত ডিলার শাখা খোলা রাখতে হবে।
এটিএম বুথ থেকে সর্বোচ্চ তোলা যাবে এক লাখ টাকা
এদিকে ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে ব্যাংকগুলোর এটিএম বুথ থেকে দিনে এক লাখ টাকা পর্যন্ত নগদ উত্তোলনের সীমা বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বর্তমানে বেশির ভাগ ব্যাংকের কার্ড দিয়ে দিনে ৫০ হাজার টাকা ও কিছু ব্যাংক থেকে বেশি অর্থ তোলা যায়। নিজ ব্যাংকের বুথ ও অন্য ব্যাংকের বুথ থেকে একই সীমা প্রযোজ্য হবে।
খোলা থাকছে শেয়ারবাজার
দেশের শেয়ারবাজারে বৃহস্পতিবার থেকে আড়াই ঘন্টার লেনদেন চলবে। ব্যাংক খোলার সিদ্ধান্তের পর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শেয়ারবাজারে লেনদেন চলবে। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ব্যাংক খোলার রাখার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেওয়া হয়। সেই চিঠির পর ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
বিএসইসি আগে থেকেই বলে আসছিল, ব্যাংক খোলা থাকলেই শেয়ারবাজার খোলা থাকবে। সেই অনুযায়ী, ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে বৃহস্পতিবার থেকে লেনদেন সচল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ব্যাংক বন্ধের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে কাল থেকে এক সপ্তাহের জন্য শেয়ারবাজার বন্ধের নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি। সেই অনুযায়ী, বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ও ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা অনেকটা ছুটির আমেজ নিয়ে বাসায় ফিরে যান।