|| অর্থবাজার প্রতিবেদন, ঢাকা ||
নতুন অর্থবছরে রাষ্ট্রের আয়-ব্যয়ের হিসাব বা জাতীয় বাজেটে যে শর্তে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত আয় বা কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল তা আরো শিথিল করা হয়েছে। সোমবার বাজেট অধিবেশনে বড় কোন পরিবর্তন ছাড়াই কন্ঠভোটে পাস হয় অর্থবিল ২০২০।
গত ১১ই জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেটের সঙ্গে অর্থবিল ২০২০ জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছিলেন। সোমবার দুপুরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অর্থমন্ত্রী অর্থবিল পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
মঙ্গলবার ৩০শে জুন পাস হবে মূল বাজেট। ১লা জুলাই বুধবার থেকে শুরু হবে নতুন অর্থবছর।
এদিকে মানুষের সাশ্রয় হয় এমন কোন প্রস্তাবনা বাদ বা পরিবর্তন, পরিবর্ধণ বা সংশোধন না করা হলেও অর্থবিল পাসের সময়ে সংশোধন করা হয়েছে পুঁজিবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগে প্রস্তাবিত শর্তাবলী। বাজেট প্রস্তাবে পুঁজিবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগের সুবিধার্থে তিন বছরের লক-ইন শর্ত দেওয়া হলেও তা দুই বছর কমিয়ে এখন শুধু এক বছর করা হয়েছে।
বাজেট প্রস্তাবে কোনো জরিমানা ছাড়া শুধু ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী। অর্থনীতির মূলধারায় অর্থের প্রবাহ বৃদ্ধির স্বার্থের কথা বলে অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবটি দিয়েছিলেন। সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, বন্ড বা অন্য কোনো সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রেও একই সুযোগ রাখা হয়। বলা হয়, অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ এসব খাতে বিনিয়োগ করলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বা সরকারের অন্য কোনো দপ্তর টাকার উৎস জানতে চাইবে না।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে শুধু শর্ত ছিল তিন বছর ধরে রাখার। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এমনকি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বালাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) লক-ইনের শর্ত পুরোপুরি তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল।