|| সারাবেলা প্রতিবেদন ||
থমকে আছে এবি ব্যাংকের একটি বড় অঙ্কের টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে করা দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক এর অর্থপাচার মামলার কার্যক্রম। এই মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার। মামলার তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, এই ঋণের বেশীর ভাগ অর্থই বিদেশে পাচার করা হয়েছে। দীর্ঘ চার বছর তদন্তশেষে গেলো বছরের ২৬শে নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার।
বিশাল এই অঙ্কের ঋণ অনুমোদন ও বিতরণে জড়িত রয়েছেন মর্মে ব্যাংকটির সেসময়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ মোট ২১ জনের নাম প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু জেসমিন আক্তারের সই করা প্রতিবেদনটি জমা দেয়ার কয়েক দিনের মাথায় কোন এক খুঁটির জোরে পাল্টে যায় তদন্ত কর্মকর্তা। দায়িত্বে আসেন আরেক সহকারী পরিচালক মো. নজরুল। একইসঙ্গে জেসমিন আক্তারের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে উক্ত প্রতিবেদনটি মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজের কাছেও দাখিল করা হলেও থমকে আছে সেই কার্যক্রমও। শুধু তাই নয়, জড়িতদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হলেও সংশ্লিষ্টদের বেশীর ভাগই আগাম জামিন নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
জেসমিন আক্তারের সই করা প্রতিবেদনে বলা হয়, ATZ Communications Pte Ltd. নামের একটি প্রতিষ্ঠান Offshore Banking Unite OBU, AB Bank Pte Ltd. চট্টগ্রামের একজন গ্রাহক। যিনি ২০১৪ সালের ২২শে মে তারিখে এই ইউনিটে একটি চলতি হিসাব খোলেন। যার নম্বর: ৪৬০১৭৮৯৭২৬০৪০।
এরআগে ৭ই মে ২০১৪ তারিখে টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে ATZ Communications Pte Ltd নামের এই প্রতিষ্ঠানটি সিংগাপুরের The Accounting & Corporate Regulatory Authority (ACRA) থেকে রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে নেয়। যেখানে প্রতিষ্ঠানটির মালিক হিসেবে সিংগাপুরের নাগরিক Mr. Chua Nam Huat Samson এর নাম উল্লেখ করা হয়। সিঙ্গাপুরের The Accounting & Corporate Regulatory Authority (ACRA) থেকে নিবন্ধন নেবার ষোলদিনের মাথায় Offshore Banking Unite OBU, AB Bank Pte Ltd. চট্টগ্রামে ব্যাংক হিসাব খোলা হয় ATZ Communications Pte Ltd নামে। যদিও যে কোন হিসাব তা চলতি কিংবা সঞ্চয়ী যাই হোক তা খুলতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে হিসাব পরিচালনা করেন এমন একজন পরিচয়দানকারী বা Introducer বাধ্যতামূলক। কিন্তু এই হিসাব খোলার ক্ষেত্রে কোন পরিচয়দানকারী বা Introducer নেই বলে দুদকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। হিসাব খুলতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসার ধরন হিসেবে সেসময়ে বলা হয় নবগঠিত ATZ Communications Pte Ltd মূলত টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিস প্রোভাইডার। যাদের ব্যবসার ডাল-পালা রয়েছে দেশে ও বিদেশে।
হিসাব খোলার পরপরই হিসাব পরিচালনাকারী Mr. Chua Nam Huat Samson ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের জন্য চট্টগ্রামে এবি ব্যাংক লিমিটেডের Offshore Banking Unit (OBU), Bay shopping centre, EPZ, ম্যানেজার বরাবর আবেদন করে। আবেদনে জানানো হয়, বাংলাদেশি ক্রেতা Level-3 Carrier নামীয় একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে তথ্য-প্রযুক্তি পণ্য (আইসিটি ইন্সট্রুমেন্ট) বিক্রি করবে তারা। সে লক্ষ্যে ATZ Communications Pte Ltd এবং Level-3 Carrier এর মধ্যে একটি ক্রয়-বিক্রয় চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। উক্ত চুক্তিতে টেলিকমিউনিকেশনের প্রয়োজনীয় মেশিনারিজ উৎপাদনকারীর কাছ থেকে কিনে তা Level-3 Carrier এর কাছে বিক্রি করা হবে। শুধু তাই নয়, এসব যন্ত্রপাতি বাংলাদেশি ক্রেতা Level-3 Carrier এর প্রকল্পে ATZ Communications Pte Ltd কর্তৃক স্থাপন-সংযোজন করে দেবে মর্মে চুক্তিপত্রে উল্লেখ করা হয়।
এরপর ATZ Communications Pte Ltd এর আবেদনের প্রেক্ষিতে তৈরি ঋণ প্রস্তাবনাটি Offshore Banking Unit (OBU), Bay shopping centre, EPZ, Chittagong থেকে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের Business Division এর প্রধান আবু হেনা মোস্তফা কামালের বরাবর ২০১৪ সালের ২৬শে মে ই-মেইলের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ করে পাঠানো হয়। যার স্মারক নং: ABBL/EPZ/OBU/2014(781).
ঋণপ্রস্তাবনায় ATZ Communications Pte Ltd কে Offshore Banking Unit (OBU), Bay shopping centre, EPZ, চট্টগ্রাম কর্তৃক ‘To Finance their Current Opportunities for providing network support & engineering Services to international telecommunication companies internet/Data Service Provider & Suply Equipment & Services to International Gate way (IGW) & Bangladeshi llG Operators’ উল্লেখ করে সুপারিশ করা হয়। প্রস্তাবে সুপারিশকারী হিসেবে Offshore Banking Unit (OBU), Bay shopping centre, EPZ, চট্টগ্রামের জনাব সালাউদ্দিন, এভিপি এবং জনাব লোকমান হোসেন, এসএভিপি ও শাখা প্রধান সই করেন। প্রস্তাবে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ মঞ্জুরের সুপারিশ করা হয়।
প্রস্তাবটি পাওয়ার পর প্রধান কার্যালয়ের Business Divission সেইদিনই অর্থাৎ ২০১৪ সালের ২৬শে মে সুপারিশ আকারে ঋণ মঞ্জুরের জন্য প্রধান কার্যালয়ের Cradit Risk Management (CRM) Division বরাবর পাঠানো হয়। সেই সুপারিশপত্রে Business Division এর পানেট চক্রবর্তী (পিও), কাজী নাসিম আহমেদ (এসভিপি) ও জনাব আবু হেনা মোস্তফা কামাল (এসইভিপি ও Head of Business) সুপারিশকারী হিসাবে সই করেন।
দুদক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, প্রধান কার্যালয়ের CRM Divission এবং ক্রেডিট কমিটির সদস্য এসইভিপি জনাব সালমা আক্তার, ডিএমডি জনাব মশিউর রহমান ঋণের বিষয়ে কোনো প্রকার বিচার-বিশ্লেষণ তথ্য যাচাই-বাছাই ছাড়াই ঋণ প্রস্তাবটি ইতিবাচক সিদ্ধান্তের জন্য পর্ষদ বরাবর উপস্থাপন করেন।
ঋণ প্রস্তাবটি পরিচালনা পর্ষদের কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে পর্ষদের সদস্য ১. জনাব এম ওয়াহিদুল হক ২. জনাব মো এম এ আউয়াল ৩. জনাব ফাহিম উল হক ৪. জনাব ফিরোজ আহমেদ ৫. সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দিন ৬. জনাব শিশির রঞ্জন বোস ৭. জনাব বি বি সাহা রায় ৮. জনাব মো. মেজবাউল হক ৯. জনাব জাকিয়া এস আর খান ১০. জনাব মো আনোয়ার জামিল সিদ্দিকী পরদিন অর্থাৎ ২৭শে মে ২০১৪ তারিখে বোর্ড সভা ডেকে (বোর্ড সভা নং: ৫৫২, তারিখ: ২৭ মে ২০১৪) ঋণ মঞ্জুর করে দেন।
এরপরদিন অর্থাৎ ২৮শে মে ২০১৪ তারিখে ই মঞ্জুর করা ১০ মিলিয়ন ডলার (প্রধান কার্যালয় স্মারক নং: HO/CRM/L/1127/2014, Date:28/05/2014) ATZ Communications Pte Ltd এর ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়ে দেয়া হয়। অ্যাকাউন্টে টাকা আসার পরই OBU চট্টগ্রাম থেকে গ্রাহককে অর্থাৎ ATZ Communications Pte Ltd’কে তাদের ঋণ মঞ্জুর হয়েছে মর্মে জানিয়ে দেয়া হয়। যার স্মারক নং: ABBL/OBU/2014(223), Date: 28/05/2014.
গ্রাহক ATZ Communications ঐ দিনই অর্থাৎ ২৮শে মে তারিখেই সমুদয় অর্থ তাদের সিঙ্গাপুরের OCBC Bank ব্যাংকে পাঠিয়ে দেয়ার আবেদন করে। সেদিনই এবি ব্যাংকের OBU চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ Swift Massage এর মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর করে।
অর্থাৎ কোম্পানি গঠনের মাত্র ২০ দিনের মাথায় ১০ মিলিয়ন ডলার ঋণ আবেদন ও তা মঞ্জুর করা হয়। কিন্তু কী কারণে ATZ Communications Pte Ltd থেকে সিঙ্গাপুরের OCBC Bank এর ব্যাংক হিসাবে এতো পরিমান অর্থ পাঠানো হলো তার কোনো যুক্তিসংগত কারণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দিতে পারেনি বলে দুদক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এমনকি বাংলাদেশি ক্রেতা Level-3 Carrier বরাবর চুক্তি অনুযায়ী মালামাল বিক্রি বা সরবরাহ কোনটা করা হয়েছে কিনা সে তথ্যও ব্যাংক নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়।
সেসময় গণমাধ্যমে এই ঋণ কেলেঙ্কারি ও অর্থপাচারের খবর প্রকাশ পেলে ২০১৬ সালের ২৬শে এপ্রিল এবি ব্যাংকের ৬০২ তম বোর্ড সভায় বিষয়টি নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত মতো সে সময় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে ব্যাংকটির ডিএমডি এন্ড হেড অফ অপারেশন্স সাজ্জাদ হোসেনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। কমিটির অন্য তিন সদস্য হচ্ছেন, ব্যাংকটির সাবেক ইভিপি এন্ড হেড অফ আসিসিডি মো. শাহজাহান, ইভিপি অপারেশন্স মো. আমিনুর রহমান এবং ইভিপি এফআই জনাব সরফুদ্দিন আহমেদ। চার মাস তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৩১শে আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় এই কমিটি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন এবং উদ্দেশ্যমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে অর্থপাচার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতার প্রমান পান বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়। তদন্তে এও বেরিয়ে আসে যে, ঋণ মঞ্জুরীপত্রে উল্লেখিত ঋণটির ধরণ ছিল SDB (Specific Deal Basis) Time Loan, আর ঋণ পরিশোধের সর্বশেষ তারিখ ছিল ২০১৬ সালের ৩১শে অক্টোবর। যা অবৈধভাবে SDB (Specific Deal Basis) Time Loan এর extension of validity এর প্রস্তাব পিও আরিফ নেওয়াজ ও শাখা প্রধান মো. লোকমান স্বাক্ষরপূর্বক পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত এবি ব্যাংকের রেকর্ডে দেখানো হয়েছে, ২০১৪ সালের ২৮শে তারিখে ঋণ অনুমোদন, বিতরণ এবং একই তারিখে তা সিংগাপুরে পাঠানোর পর এ পর্যন্ত ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে ৯ দশমিক ৬০ মিলিয়ন ঋণ পরিশোধ বাবদ জমা হয়েছে। ফলে আসলের অবশিষ্ট ১ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এখনো পরিশোধ করা হয়নি।
ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, উপরোক্ত ব্যক্তিরা ATZ Communications Pte Ltd এর নামে ঋণ প্রস্তাব পাঠানোসহ ঋণমঞ্জুর, ঋণ প্রদান, এবং মঞ্জুর করা ঋণ ও বিতরণ করা ঋণের মধ্যে উল্লেখিত ১ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রতি মার্কিন ডলারের ৮০ টাকা ধরে) মোট চৌদ্দ কোটি আটাশি লাখ টাকা বিদেশে পাচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন।
তবে অভিযোগ রয়েছে, ব্যাংকের তদন্ত কমিটির এই তথ্য-উপাত্ত শুধু কাগজেই থেকে যায়। মোট পরিশোধ করা অর্থের হিসাব কিংবা আত্মসাত করা বাকি অর্থ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে এবি ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদ তথা কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি।
এমন একটি বিশাল অঙ্কের ঋণ ও তা বিদেশে পাচারের ঘটনাটি দুর্নীতি দমন কমিশনের জালে ধরা পড়লে বিস্তারিত তদন্তে নামে সাংবিধানিক এই সংস্থাটি। দুদকের তদন্তেও ব্যাংকের গঠিত তদন্ত কমিটির দেয়া প্রতিবেদনের সত্যতা পাওয়া যায়।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে গেলো বছর ২৬শে নভেম্বর প্রতিবেদন জমা দেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার। প্রতিবেদনে এই অর্থপাচার কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন মর্মে ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের সেসময়ের সদস্যবৃন্দসহ মোট ২১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
তারা হলেন:
১.মো, লোকমান হোসেন, সাবেক হেড অব ওবিও, ইপিজেড, এবি ব্যাংক লি.
২.মো. আরিফ নেওয়াজ, এসপিও, ওবিও, ইপিজেড, এবি ব্যাংক লি.
৩.মো. সালাহ উদ্দিন, ওবিও, ইপিজেড, এবি ব্যাংক লি.
৪.পানেট চক্রবর্তী, এভিপি, এবি ব্যাংক লি.
৫.কাজী নাসিম আহমেদ, সাবেক ইভিপি, এবি ব্যাংক লি.
৬. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সাবেক এসইভিপি & হেড অব বিজনেস, এবি ব্যাংক লি.
৭. সালমা আক্তার, সাবেক এসইভিপি, ও হেড অব সিআরওম এবং সদস্য ক্রেডিট কমিটি, এবি ব্যাংক লি.প্রধান কার্যালয়, ঢাকা
৮. মশিউর রহমান চৌধুরী, সাবেক ডিএমডি ও হেড অব ক্রেডিট কমিটি,এবি ব্যাংক লি.প্রধান কার্যালয়, ঢাকা
৯. এম ওয়াহিদুল হক,সাবেক চেয়ারম্যান, এবি ব্যাংক লি.প্রধান কার্যালয়, ঢাকা
১০. মো. এম এ আউয়াল, সাবেক পরিচালক, এবি ব্যাংক লি.প্রধান কার্যালয়, ঢাকা
১১. ফাহিম উল হক, সাবেক পরিচালক, এবি ব্যাংক লি.প্রধান কার্যালয়, ঢাকা
১২. ফিরোজ আহমেদ, পরিচালক, এবি ব্যাংক লি.প্রধান কার্যালয়, ঢাকা
১৩. সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দিন, সাবেক পরিচালক, এবি ব্যাংক লি.প্রধান কার্যালয়, ঢাকা
১৪. শিশির রঞ্জন বোস, সাবেক পরিচালক, এবি ব্যাংক লি.প্রধান কার্যালয়, ঢাকা
১৫. বি বি সাহা রায়, সাবেক পরিচালক, এবি ব্যাংক লি.প্রধান কার্যালয়, ঢাকা
১৬. মো, মেজবাউল হক, সাবেক পরিচালক, এবি ব্যাংক লি.প্রধান কার্যালয়, ঢাকা
১৭. জাকিয়া এস আর খান, সাবেক পরিচালক, এবি ব্যাংক লি.প্রধান কার্যালয়, ঢাকা
১৮. সাজ্জাদ হোসেন, ডিএমডি এন্ড হেড অফ অপারেশনস, এবি ব্যাংক লি.প্রধান কার্যালয়, ঢাকা
১৯. মো. শাহজাহান, সাবেক ইভিপি এন্ড হেড অফ আইসিসিডি, এবি ব্যাংক লি.প্রধান কার্যালয়, ঢাকা
২০. মো. আমিনুর রহমান, ইভিপি এন্ড হেড অফ আইসিসিডি, এবি ব্যাংক লি.প্রধান কার্যালয়, ঢাকা, এবং
২১. সরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক ইভিপি, এফআই, এবি ব্যাংক লি., প্র্রধান কার্যালয়, ঢাকা।
এই ধরণের রাষ্ট্র ও জনবিরুদ্ধ অবৈধ কাজে আরো অনেকের সংশ্লিষ্টতা মিলতে পারে বলেও দুদকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এই প্রতিবেদনটি দাখিলের মাত্র কয়েকদিনের মাথায় পাল্টে যায় তদন্ত কর্মকর্তা। সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তারের জায়গায় দায়িত্বে আসেন সংস্থাটির আরেক সহকারী পরিচালক মো নজরুল। একই সাথে অর্থপাচারের বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা নিতে উক্ত প্রতিবেদনটি মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজের কাছে দেয়া হলেও কোন এক অদৃশ্য ক্ষমতাবলে থমকে গেছে সেই বিচারিক কার্যক্রমও।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, শুধু তাই নয়, বিষয়টি দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হলেও এই ঋণ প্রকিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বেশীর ভাগই নিয়ে নিয়েছেন আগাম জামিন। মামলা থেকে রেহাই পেতে অভিযুক্তরা শুধু ডাকসাইটে আইনজীবীর শরনাপন্নই হয়েই থেমে থাকেননি। বিষয়টি মিমাংসা করতে দুদকসহ বিভিন্ন মহলে চেষ্টা তদবিরও চালিয়ে যাচ্ছেন।