এলপিজি’র সরকারি দাম ৬শ’ টাকা বিক্রি হচ্ছে এক হাজার

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এর নির্ধারিত মূল্যে ৬০০ টাকা হওয়ায় বেশিরভাগ গ্রাহকরা আমাদের কাছে এসে ঝামেলা করেন। কিন্তু আমাদের কিছু করার থাকে না।কারণ সাড়ে ১২ কেজি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার আমরা কোম্পানির ডিলারদের কাছ থেকে পাইকারি  কিনতে হয় ৮৫০ থেকে ৮৮০ টাকায়।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, ঢাকা ||

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহর ছাড়া বেশিরভাগ জেলা, উপজেলা শহরগুলোতে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো বেশিরভাগই এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করেন। কিন্তু বেসরকারি খাতে এই এলপিজির দাম নির্ধারণে কোন নিয়ম নীতির বালাই নেই।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) সর্বশেষ নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী, সাড়ে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের সরকারি মূল্য ৬০০ টাকা। এটি সরকারের নিজস্ব উৎপাদিত এলপিজি মূল্য। কিন্তু বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে বসুন্ধরা, ওমেরা, বেক্সিমকো, পেট্রোম্যাক্স, টোটাল, বিএম এলপি গ্যাস, এনার্জিপ্যাকের জি গ্যাস, লাফ্স গ্যাস, ইউরোগ্যাস, ইউনিভার্সাল, যমুনা ও সেনা এলপিজি। এসব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বেশি দামে অর্থাৎ ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি করছে এলপিজি।

এ বিষয়ে একাধিক খুচরা বিক্রেতার সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমরা যেসব কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছি তারা এসব দাম দর নিয়ন্ত্রণ করেন। বেসরকারি কোম্পানিগুলোর কাছে আমরা জিম্মি। এদিকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এর নির্ধারিত মূল্যে ৬০০ টাকা হওয়ায় বেশিরভাগ গ্রাহকরা আমাদের কাছে এসে ঝামেলা করেন। কিন্তু আমাদের কিছু করার থাকে না।কারণ সাড়ে ১২ কেজি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার আমরা কোম্পানির ডিলারদের কাছ থেকে পাইকারি  কিনতে হয় ৮৫০ থেকে ৮৮০ টাকায়।

তাছাড়া বেসরকারি কোম্পানি গুলোর এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করা না থাকায় এই সুযোগ ব্যবহার করছেন কোম্পানির  পরিবেশকরা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের দৃষ্টি কামনা করছেন সচেতন মহল সহ জনসাধারণ।

 

সংবাদ সারাদিন