আইন সংশোধনে সংসদে বিল, একক ব্যক্তি কোম্পানি খোলার বিধান হচ্ছে

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি পরিচালিত হয় পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে। এই পর্ষদ বা বোর্ডের পরিচালক ও চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব পালনে সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। প্রস্তাবিত আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ‘এক ব্যক্তির কোম্পানি’ হলো সেই কোম্পানি, যার বোর্ডে সদস্য থাকবেন কেবল একজন।

।।সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা।।

একক ব্যক্তির কোম্পানি খোলার বিধান রেখে কোম্পানি আইনে পরিবর্তন আনতে সোমবার সংসদে বিল উত্থাপিত হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি  এ সংক্রান্ত ‘কোম্পানি (দ্বিতীয় সংশোধন) বিল- ২০২০’ সংসদে উত্থাপন করেন । পরে বিলটি পরীক্ষা করে ৩০ দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি পরিচালিত হয় পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে। এই পর্ষদ বা বোর্ডের পরিচালক ও চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব পালনে সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। প্রস্তাবিত আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ‘এক ব্যক্তির কোম্পানি’ হলো সেই কোম্পানি, যার বোর্ডে সদস্য থাকবেন কেবল একজন।

বিলটি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ ধরনের কোম্পানি আছে। দেশ-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য সরকার এ আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছেন বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

বিলে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তি কোম্পানির পরিশোধিত শেয়ার মূলধন হবে অন্যূন ৫০ লাখ টাকা এবং অনধিক ১০ কোটি টাকা। অব্যবহিত পূর্ববর্তী অর্থবছরের বার্ষিক টার্নওভার অন্যূন দুই কোটি টাকা এবং ১০০ কোটি টাকা হবে।

পরিশোধিত শেয়ার মূলধন এবং বার্ষিক টার্নওভারেএর বেশি হলে শর্তপূরণ সাপেক্ষে এক ব্যক্তির কোম্পানিকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বা ক্ষেত্রমতো পারলিক লিমিটেড কোম্পানিকে রূপান্তর করা যাবে।

এক ব্যক্তির কোম্পানিকে বছরে কমপক্ষে একটি পরিচালক সভা করতে হবে বলে বিলে বিধান রাখা হয়েছে। পরিচালক এবং প্রধান ব্যক্তি একজন থাকেন বলে এ ধরনের কোম্পানি পর্ষদ সভা করা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় নিয়মের ছাড় পাবে।

একমাত্র সদস্য মারা গেলে তার মনোনীত ব্যক্তি সকল শেয়ারের সত্ত্ববান হবে বলে প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে।
এ ধরনের কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে হস্তান্তরকারীর ব্যক্তিগত উপস্থিতি এবং কমিশনের মাধ্যমে হস্তান্তর দলিলে স্বাক্ষরের বিষয়টি নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে।

বিলে বলা হয়েছে, কোম্পানি উঠে গেলে পাওনাদারদের ঋণ পরিশোধে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কোম্পনি আইন সংশোধন করে অনলাইনের মাধ্যমে নিবন্ধনের বিধান রাখা হয়েছে।

বর্তমান আইনে ১৪ দিনের নোটিশে বোর্ড মিটিং করার বিধান আছে। প্রস্তাবিত আইনে এটাকে ২১ দিন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন