|| সারাবেলা প্রতিনিধি, ভালুকা(ময়মনসিংহ) ||
ভালুকায় টাকার জন্য চিকিৎসা আটকে যাওয়া হতদরিদ্র রিক্সা চালকের ছেলে শামিম মিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ইসলাম। বুধবার দুপুরে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের উপস্থিতিতে উপজেলার পাড়াগাঁও গ্রামের স্কুলছাত্র শামিমের চিকিৎসা সহায়তা বাবদ ইউএনও‘র ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করেছেন।
স্কুলছাত্র শামিমের পিতা হারুনুর রশিদ জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় শামিমের পা ভেঙে যায়। এতে তার পায়ের হাড়, আঙ্গুল ও রগে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এসব চিকিৎসা বাবদ শামিমের বাবার জমানো অর্থসহ ঋণ করেও কোন সুস্থ্য করতে পারেননি ছেলেকে। টাকার জন্য কোথাও চিকিৎসা করাতে পারছেন না।
শামিমের এই খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে আনেন স্বেচ্ছাসেবী পাভেজ মোশারফ, হাবিব জেহাদি ও রফিকুল ইসলাম লিটন। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ইসলামের নজরে আসে। পরে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগীতায় শামিমের পিতাকে ডেকে এনে তার হাতে নগদ ২০ হাজার টাকা তুলে দেন। এ সময় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সাইদুর রহমান, তারিকুল ইসলাম মিলন, আসাদুজ্জামান সুমন, রফিকুল ইসলাম লিটন, পারভেজ মোশারফ ও হাবিব জেহাদি উপস্থিত ছিলেন।
শামিমের পিতা হারুনুর রশিদ আরও বলেন, ‘আমি ইউএনও স্যারের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। আমি একজন অটোরিকশাচালক। ছেলের চিকিৎসার জন্য অটোরিকশাটি বিক্রি করে দিয়েছি এখন আমার ছেলের চিকিৎসা আর সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। শামিমের চিকিৎসার জন্য এখন আরও আনেক অর্থেও প্রয়োজন। যা আমার পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। ’
ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ইসলাম বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি আমি জানতে পারি। যা দেখে আমি খুবই মর্মাহত হই। একটা মেধাবী ছেলের জীবন এভাবে নষ্ট হতে পারেনা, তাই আমি আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আমার সাধ্যমত সহযোগিতা করেছি। প্রয়োজনে আরও সহযোগিতা করার চেষ্টা করব। আশা করি বিত্তবানরা শামিম কে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসবেন।’