|| সাগর চৌধুরী, সৌদি আরব থেকে ||
সৌদি আরবে কাজ করছেন এমন প্রায় ৫ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে খাদ্যসহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দা কনস্যূলেট। দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রায় আড়াই হাজার এবং জেদ্দা কনস্যুলেট থেকে দুই হাজার প্রবাসী বাংলাদেশীকে এই খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়। দূতাবাস ও কনস্যুলেটের উদ্যোগে এই সহায়তা কার্যক্রম চলবে। এছাড়া এই সংকটসময়ে প্রবাসীরা যেন চাকরি না হারান সে বিষয়ে সৌদি আরবের বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ রাখাা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সৌদি আরবে গেল ২৩শে মার্চ থেকে কারফিউ চলছে। এ অবস্থায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকেই পড়েছেন অর্থ সংকটে। প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সহায়তার অংশ হিসেবে দূতাবাস ও কনস্যুলেট ফুড বাস্কেট দিতে শুরু করে গত ১৩ই এপ্রিল থেকে।
প্রথমদিকে দূতাবাস ও কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেল, লবন ও সাবানসহ ১৫শ’ ফুড বাস্কেট দেওয়া হয়। চলমান কারফিউ ও চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিপদগ্রস্ত প্রবাসীদের কাছে বর্তমানে সুপার শপের কুপন মোবাইলে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে যা দিয়ে তারা সহজেই কাছের কোন আউটলেট থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারবেন।

এর আগে কোনও প্রবাসী বাংলাদেশি যদি চরম খাদ্যাভাবে পড়েন এবং বেতন না পান সেক্ষেত্রে দুতবাসের ইমেইলে অথবা হোয়াটস এ্যাপে তথ্য জানানোর অনুরোধ জানানো হয়। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আর্থিক সংকটে পড়া আবেদনকারীদের তালিকা তৈরি করা হয়।
খাদ্যসহায়তা বিতরণ কার্যক্রম বিষয়ে রাষ্ট্রদূত জানান, যারা সহায়তার জন্য দূতাবাসে আবেদন করেছেন তাদেরকে পর্যায়ক্রমে সহায়তা পৌঁছে দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক বর্তমান পরিস্থিতিতে অভিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য খাদ্যসহায়তা কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা বরাদ্দ অনুযায়ী যত বেশি সংখ্যক প্রবাসিকে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া চেষ্টা করছি।