অনলাইন প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না থাকলেও একপ্রকার অবরুদ্ধই চট্টগ্রাম শহরে। করোনার কারণে সবকিছু বন্ধ অবস্থার মধ্যে মঙ্গলবার মধ্যরাতে প্রসব যন্ত্রণায় কাতর চট্টগ্রাম শহরের ব্রিকফিল্ড বাইলেনের শিপন সেনের স্ত্রী প্রান্তি সেন। রাস্তায় নেই কোন যানবাহন। সংকট সময়ে শিপন সেন ফোন করেন নগরীর কোতোয়ালি থানায়। রাত ৩টা দিকে ফোন পেয়ে শিপনের বাসায় যায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
গাড়ি নিয়ে ছুটে যান যান এএসআই আজিজুল ইসলাম ও সুকুমার। পুলিশের গাড়িতে চড়েই আন্দরকিল্লা জেমিসন রেড ক্রিসেন্ট মাতৃসদনে নিয়ে আসা হয় প্রসূতিকে। হাসপাতালে ভর্তি থেকে ওষুধ কেনা, সবটাই করে পুলিশের এই দুই সদস্য। ভর্তির ঘন্টা খানেক পর কন্যা সন্তানের জন্ম দেন প্রান্তি সেন। মা ও সন্তান দু’জনই সুস্থ আছেন।
পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শিপন সেন বলেন, ‘স্ত্রীর যন্ত্রণা দেখে নিজেকে খুব অসহায় লাগছিল। রাত ৩টায় কী করবো বুঝতে পারছিলাম না। কোনো গাড়ি নেই, অ্যাম্বুলেন্সের নম্বর নেই। পরে নিরুপায় হয়ে কোতোয়ালী থানার ওসিকে ফোন করেছিলাম। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সদস্যরা এসে আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। ভর্তি থেকে শুরু করে, ওষুধ কেনা সব তারা করেছেন।
তিনি আরো বলেন, হাসপাতালে আনতে দেরি হলে হয়তো আমার স্ত্রী সন্তান দু’জনকেই হারাতাম। পুলিশ সদস্যদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।
কোতোয়ালি থানার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন জানান, করোনার কারণে যানবাহন নেই। অ্যাম্বুলেন্সের ডিউটিও বেড়ে গেছে। তার স্ত্রী প্রসব বেদনা ওঠায় কোতোয়ালি থানার হেল্প চাইলো সে। আমরা তাৎক্ষণিক গাড়ি পাঠাই।#
![](https://i0.wp.com/sangbadsaradin.net/wp-content/uploads/2021/08/rsz_লক্ষ্মীপুরে_স্বেচ্ছাসেবী_সংস্থা_ও_ব্যাক্তির_মাঝে_অনুদানের_চেক_বিতরন_pic-2.jpg?fit=300%2C185&ssl=1)