|| অনলাইন প্রতিনিধি, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ||
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় দুই মাসে কসবা উপজেলায় পর্যায়ক্রমে প্রায় ৪০ হাজার কর্মহীন ও হতদরিদ্র পরিবারকে ২ কোটি ৮০ লাখ টাকার ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক৷
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির শুরু থেকেই নিজ নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা-আখাউড়া উপজেলার কর্মহীন ও অভাবগ্রস্থ মানুষের পাশে নিবিড়ভাবে রয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি।
শুক্রবার ২২ মে আইন, বিচার ও সংসদীয় মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় গত ২৪ মার্চ ২ হাজার ৫০টি অসহায় পরিবারের জন্য ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১৮ লাখ টাকার ত্রাণসামগ্রী বরাদ্দ দেওয়ার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এরপর দলীয় নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় গত দুই মাসে কেবল কসবা উপজেলায় পর্যায়ক্রমে ৩৯ হাজার ৬০৫টি কর্মহীন ও হতদরিদ্র পরিবারকে ২ কোটি ৮০ লাখ ৬১ হাজার ৯০০ টাকার ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।
ত্রাণ হিসেবে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ ও সাবান দেওয়া হয় এবং তা হতদরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হয়। এসব ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করেছেন আইনমন্ত্রী। করোনাকালে যারা ফোনে বা অন্য কোনোভাবে খাদ্য সমস্যার কথা বলেছেন, তাদের বাসায় জরুরি ভিত্তিতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
এছাড়া ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আইনমন্ত্রীর ব্যক্তিগত অর্থায়নে কসবা ও আখাউড়ার ১০ হাজার মানুষের মধ্যে প্রায় ৪১ লাখ টাকার নতুন কাপড় বিতরণ করা হয়েছে। আইনমন্ত্রীর পক্ষে কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এসব ত্রাণ ও নতুন কাপড় বিতরণ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত দুই মাসে আইনমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নে ৫ হাজার ২৭টি পরিবারকে ৩৩ লাখ ৫১ হাজার ৩০০ টাকার, মেহারী ইউনিয়নে ১ হাজার ৭২০টি পরিবারকে ১২ লাখ ৮০ হাজার টাকার, বাদৈর ইউনিয়নে ১ হাজার ৮৬৫টি পরিবারকে ১৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, খাড়েরা ইউনিয়নে ৩ হাজার ২৫৮টি পরিবারকে ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ৪০০ টাকার, বিনাউটি ইউনিয়নে ২ হাজার ৩৫টি পরিবারকে ১২ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকার, গোপীনাথপুর ইউনিয়নে ৫ হাজার ৩৮২টি পরিবারকে ৩৪ লাখ ৭০ হাজার টাকার, পশ্চিম কসবা ইউনিয়নে ২ হাজার ৩৪২টি পরিবারকে ১১ লাখ ৩৯ হাজার টাকার, কুটি ইউনিয়নে ৩ হাজার ৩৮০টি পরিবারকে ১০ লাখ ৬২ হাজার ১০০ টাকার, কাইমপুর ইউনিয়নে ৩ হাজার ৫৯১টি পরিবারকে ১৫ লাখ ৪১ হাজার টাকার, বায়েক ইউনিয়নে ৫ হাজার ৯০৬টি পরিবারকে ৫৩ লাখ ২২ হাজার টাকার ও কসবা পৌর এলাকায় ৫ হাজার ৯৯টি পরিবারকে ২৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকার ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
সসা/এসএইচ/এসএম