|| অনলাইন প্রতিনিধি, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) ||
নিজের প্রতিদিনকার আয় আর সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে এলাকার করোনাদুর্গত মানুষকে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন ভেড়ামারার চিকিৎসক কামরুল ইসলাম মনা। ভেড়ামারা রেলস্টেশনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসে আটকে পড়া, ছিন্নমূল, ও বাস্তুহারা পঞ্চাশের বেশী মানুষকে রান্না করা খাবার দিচ্ছেন নিয়মিত। তাঁকে সহায়তা করছেন তাঁর স্ত্রী ডা. শামীমা ইয়াসমিন সীমা। প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ জনের খাবার নিজেই রান্না করে প্যাকেট করছেন তিনি। কোনরকম ব্যক্তিগত সুরক্ষা ছাড়াই প্রতিদিন দু’জনে মিলে এই কাজটি করে যাচ্ছেন তারা। এছাড়া যারা দুর্যোগসময়ে লজ্জায় হাত পাততে পারছেন না সেইসব পরিবারকেও সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন ডা. কামরুল ইসলাম মনা।

এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবারও এলাকার অনেকে পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়। যারা সমাজে অন্যের কাছে হাত পাততে পারে না, সেই মানুষগুলোর বাড়ীতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে ডা. মনাকে সহায়তা করছেন সাংবাদিক মাসুদ রানা লেবু।
খাদ্যসহায়তার দেওয়ার সময়ে উপস্থিত ছিলেন, ভেড়ামারা প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান লিপটন, জয়যাত্রা টেলিভিশন ও দৈনিক সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার ভেড়ামারা প্রতিনিধি প্রভাষক সাইফুল ইসলাম।
ডা. কামরুল ইসলাম মনা বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমার স্বর্ণের চেইন পড়ার খুব শখ ছিল। সেই শখ মেটাতে এ যাবত ১৫ বার চেইন কিনেছি এবং ১৫ বারই মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে রাখতে পারিনি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মানুষের এ দুঃসময়ে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্যও অনুরোধ জানান তিনি।
শুধু নিজেই নন, সারাদেশে নিজের গড়া সংগঠন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সমাজ কল্যাণ সংস্থার সদস্যদের মাধ্যমে এই করোনাসময়ে দু:স্থ মানুষের পাশেও দাঁড়িয়েছেন তিনি।#