|| অনলাইন প্রতিনিধি, জামালপুর ||
করোনাভাইরাস দুর্যোগে জেলাজুড়ে চলছে লকডাউন। সরকারি ছুটির পাশপাশি লকডাউনে পড়ে কাজ হারিয়েছেন মেলান্দহ উপজেলার হাজারো শ্রমজীবি মানুষ। এসব মানুষের সবথেকে বড় সংকট এখন খাবার না থাকা। এসব মানুষকে খিচুড়ি রান্না করে খাওয়াচ্ছেন মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল ইসলাম খান।
পয়লা এপ্রিল থেকে প্রতিদিন দেড়শ’ দুর্গত মানুষকে সবজির খিচুরী খাওয়াচ্ছেন তিনি। এছাড়া ৬শ’ পরিবারকে চাল,ডাল, তেল দিয়ে সহায়তাও করেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ সহায়তা অব্যাহত রাখবেন ওসি রেজাউল।
লকডাউনে পড়ে মেলান্দহের কাজ হারানো গরীব মানুষেরা প্রতিদিন ছুটছে খাদ্যের খোঁজে। সরকারি খাদ্য সহায়তা অপ্রতুল হওয়ায় কেউ পাচ্ছে, আবার কেউ পাচ্ছে না। অনেকেরই রান্না করে খাবার যোগানোর সামর্থও নেই। এই পরিস্থিতিতে ওসি মো. রেজাউল ইসলাম খান অভাবী মানুষের মুখে প্রতিদিন তুলে দিচ্ছেন সবজি খিচুড়ি।
পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেনের সার্বিক নির্দেশনায় প্রতিদিন ২০ কেজি চালসহ ডাল ও বিভিন্ন সবজি মিশিয়ে আরও ২০ কেজি পরিমাণ সামগ্রী দিয়ে সবজি খিচুড়ি রান্না করা হয় থানা চত্বরে। এই পরিমাণ খিচুড়ি প্যাকেট করে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে হতদরিদ্র ১৫০ জন মানুষের মাঝে নিজেই পৌঁছে ওসি রেজাউল। মাঝে মধ্যে মাংস-খিচুড়িও রান্না করা হয়।
বুধবার দুপুর ১টার দিকে মেলান্দহ থানার সামনে গিয়ে দেখা যায়, রান্না করা খিচুড়ি দেওয়ার আয়োজন। একটি ডেকে ১৫০ প্যাকেট সবজি খিচুড়ি রাখা। ঘন্টা খানেকের মধ্যেই চলন্ত রিক্সা চালক, ভ্যান চালক ও পথচারী দরিদ্র নারী, পুরুষ ও শিশুরা এক এক করে প্রত্যেকে একটি করে খিচুড়ির প্যাকেট নিয়ে যাচ্ছেন খুশি মনে।#