|| সারাবেলা প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর ||
জনশক্তি কর্মসংস্থান ব্যুরোর (বিএমইটি) করোনা টিকার রেজিষ্ট্রেশন করতে এসে সার্ভার সমস্যায় নিবন্ধন করতে পারেননি লক্ষ্মীপুরের ১৮৭ জন বিদেশগামী। এরা সবাই শুক্রবার সকালে টিকার নিবন্ধন করাতে আসেন লক্ষীপুর কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে।
সকালে সবাই লক্ষীপুর কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আসেন। যথারীতি শুরুও হয় নিবন্ধন কার্যক্রম। কিন্তু হঠাৎ করে সার্ভারে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পরিশোধের তথ্য না আসায় ১৮৭ জন বিদেশগামীকে নিবন্ধন না করেই ফেরত যেতে হয়। মাত্র ১৩ জনের নিবন্ধন করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একটি সূত্র।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের শহর কসবা গ্রাম থেকে আসা মো. জামাল হোসেন জানান, তিনি সৌদি আরবে যাওয়ার সকল প্রস্তুতি নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় এক সাংবাদিকের মাধ্যমে খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে জকসিন বাজার থেকে পায়ে হেঁটে তিনি ও তাদের বাড়ির কুয়েত থেকে ছুটিতে আসা শাহ আলম লক্ষ্মীপুর কারীগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আসেন।
কাগজপত্র পূরণ করে বিকাশের মাধ্যমে টাকাও জমা দেন। কিন্তু সার্ভার জটিলতার কারনে তাদের ২ জনের নিবন্ধন হয়নি। তাদের আবারও সোমবার আসাতে বলেছেন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
লক্ষ্মীপুর কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) গিয়াস উদ্দিন আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, নিবন্ধন করার জন্য শুক্রবার সকালে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ২০০ বিদেশগামী আসেন। কিন্তু সার্ভার সমস্যার কারনে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পরিশোধের তথ্য না আসায় মাত্র ১৩ জনের নিবন্ধন করা সম্ভব হয়েছে। সার্ভার সমস্যা কেটে গেলে শনিবার থেকে নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে। তিনি বিদেশগামীদের পাসপোর্ট ফটোকপি, এনআইডি, ছবিসহ প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে ৪ মধ্যে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আসাতে অনুরোধ জানান।
উল্লেখ যে, সৌদি আরব ও কুয়েত নতুন ভিসা, ছুটি নিয়ে দেশে অভিবাসীরা যেতে চাইলে ভ্যাকসিন ফাইজার টিকা দিয়ে সনদ নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু টিকার নিবন্ধন সাময়িক বন্ধ থাকায় সরকার বিদেশগামীদের নাম নিবন্ধন করে টিকার দেওয়ার জন্য প্রস্ততি নেয়। তবে সৌদি ও কুয়েত যাওয়া অভিবাসীরা রেজিষ্ট্রেশন করার পর শুধু ঢাকা থেকে ফাইজার টিকা নিতে পারবে।
