রংপুর বিভাগের করোনায় ২৪ ঘন্টায় ১৯জনের মৃত্যু

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, রংপুর ||

রংপুর বিভাগে করোনার মৃত্যুর সংখ্যা আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সংক্রমনের সংখ্যা  কিছুটা কমেছে।  গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৯ জন মারা গেছে।  করোনায় একই সময়ে ১ হাজার ৫শ ৩১ জনের  নমুনা পরীক্ষার পর ৩৯১   জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গত ৩৯দিনে রংপুর বিভাগে ৩৭   নারীসহ ৫৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অন্যদিকে গত ২৪ ঘন্টায় সবচেয়ে বেশি করোনা সনাক্ত হয়েছে রংপুরে ১শ ২ জন , জন, পঞ্চগড়ে ৩৮জন    নীলফামারীতে ৩৬  জন , লালমনিরহাট ২১ জন কুড়িগ্রামে ৪২ জন,

ঠাকুরগায়ে ৫৫ , দিনাজপুরে ৬৫ এবং গাইবান্ধায় ৩৪ জন।

অন্যদিকে গত ২৪ ঘন্টায় যে ১৯   জন মারা গেছে তাদের মধ্যে রংপুরে ৫জন, পঞ্চগড়ে ১ জন, নীলফামারীতে ৩ জন, কুড়িগ্রামে ১ জন, ঠাকুরগায়ে ৪ জন এবং দিনাজপুরে ৩  জন এবং গাইবান্ধায় ২ জন। রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক  ডা. মোতাহারুল ইসলাম  ১৯ জন মারা যাবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।

এদিকে রংপুরে কোভিট হাসপাতালে ৮টি আইসিইউ বেড এবং দিনাজপুর কোভিট হাসপাতালের ১৬ টি বেডের একটিও ফাঁকা নেই এবং গত ২৪ ঘন্টায় রংপুর বিভাগে ১০ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাবার বিষয়টিও বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. মোতাহারুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। সেই সাথে আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পেয়ে ২৫  দশমিক ৫৪  ভাগে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র জানায়, বিভাগের আট জেলায় করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে দিনাজপুর, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।

এ  পর্যন্ত রংপুর বিভাগে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে দু লাখ ৩১  হাজার ১শ ৯৮  জনের। এদের মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ৪৮ হাজার ৭শ ৪২  জনের।  সুস্থ হয়েছেন ৩৮  হাজার ৫শ ২৬   জন।

রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. মোতাহারুল ইসলাম জানান , সীমান্ত বর্তী জেলা দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও লালমনিরহাট এবং বিভাগীয় শহর রংপুরে করোনা সংক্রমণ আশাঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ৩শ ৯৩  জন, রংপুরে ১১ হাজার   ৫১ জন পঞ্চগড়ে ৩ হাজার ১শ ১ জন, নীলফামারীতে ৩ হাজার ৯শ ৭১ জন, লালমনিরহাটে ২ হাজার ৪শ ৩৮জন, কুড়িগ্রামে ৪হাজার ৩৭  জন, ঠাকুরগায়ে ৬ হাজার ৫শ ৬০ জন এবং গাইবান্ধায় ৪ হাজার  ১শ ৯১জন। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এবং মাস্ক পরিধান না করায় প্রতিদিন সংক্রমণ বাড়ছে বলেও জানান তিনি।

সংবাদ সারাদিন