সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা
করোনাভাইরাস আর কোন একটি নির্দিষ্ট স্থানে বসে থাকছে না। ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে। সোমবার নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৩৫ জন। মারা গেছেন তিনজন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেছেন, সারা দেশ থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৬৮টি। এনিয়ে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ১২ জন, আক্রান্ত ১২৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার খবর নেই। আক্রান্তদের ৬৪ জন ঢাকার, নারায়ণগঞ্জের ২৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় যতজন আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১২ জন নারায়ণগঞ্জের, অন্যরা মাদারীপুরের।
মৃত তিনজনের একজন এক সপ্তাহ আগে শনাক্ত হন বলে জানান মীরজাদী সেব্রিনা। তিনি বলেন, বাকি দুজন হাসপাতালে আসার পরপরই মারা গেছেন। তাঁরা দুজন নারায়ণগঞ্জের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আক্রান্তদের ৩৫ জনের বয়স ছিল ৪১ থেকে ৫০ বছর, তাঁদের মধ্যে ৩০ জনই পুরুষ। এর বাইরে ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সী ২১ জন আক্রান্ত হন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৩৯ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৭০৯ জন হোম কোয়ারেন্টিনে এবং ৩০ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন। এর বাইরে ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ২৩ জনকে।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, দুদকের যে পরিচালক করোনায় মারা গেছেন, তাঁর বয়স ছিল ৪৮ বছর। তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
এর আগে সোমবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, আক্রান্তের সংখ্যা ২৯ ও মারা গেছেন ৪ জন।
মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদকে সংখ্যাবিভ্রান্তি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, একটি বৈঠক চলার সময় তিনি ফোন করেছিলেন। আইইডিসিআর তাঁকে তথ্য দিয়েছিল। সেখানে একই নাম দুবার লেখা হয়েছিল, আলাদা নামে। সে কারণেই এই সমস্যা। তাঁরা যে তথ্য দিয়েছেন, সেটাই সঠিক।#
