|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||
দেশে করোনা সংক্রমনের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সময়ে সবথেকে বেশী মানুষের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গেল চব্বিশ ঘন্টায় এই সংখ্যা ১২শ দু্ইজন। গেল ৮ই মার্চ প্রথম রোগীর খোঁজ মেলার পর গত সোয়া দুই মাসে আর কখনও এক দিনে এত নতুন রোগী শনাক্ত হয়নি। রেকর্ডসংখ্যক এই রোগী নিয়ে দেশে মোট কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এখন ২০ হাজার ৬৫ জন। গত এক দিনে সারা দেশের ৪১টি ল্যাবে রেকর্ড ৮ হাজার ৫৮২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ।
এছাড়া শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৫ জন। ১৮ই মার্চ প্রথম মৃত্যুর পর থেকে এ পর্যন্ত সময়ে মৃত্যুর মোট সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯৮ জনে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে যুক্ত হয়ে প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সবশেষ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত একদিনে যে ১৫ জন মারা গেছে, তাদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ, ৮ জন নারী। এদের দুজনের বয়স ছিল ৮০ বছরের বেশি। ৩ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ৮ জন ৫১ থেকে ৬০ বছরেরর মধ্যে, ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ছিল ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৭৯ জন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৮৮২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
এছাড়া দেশের এলাকাভিত্তিক চিত্র তুলে ধরে অধ্যাপক নাসিমা বলেন, দেশে মোট আক্রান্তের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রোগীর হার কমে এখন ৭৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ হয়েছে। আগে যা ছিল ৮০ শতাংশের বেশি।
ঢাকা মহানগরীতে আক্রান্তের সংখ্যা দেশের মোট রোগীর ৫৮ দশমিক ১১ শতাংশ। মহানগরী ছাড়া ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলার রোগীর সংখ্যা দেশের মোট আক্রান্তের ২১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
দেশের মোট আক্রান্তের ৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ ময়মনসিংহ বিভাগের, ২ দশমিক ৫৩ শতাংর রংপুর বিভাগের, ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ সিলেট বিভাগের, ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ রাজশাহী বিভাগের এবং ১ দশমিক ১০ শতাংশ বরিশাল বিভাগের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৬৯ জনকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে; সারা দেশে এখন আইসোলেশনে রয়েছেন ২ হাজার ৭৪৮ জন।
