|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||
করোনাভাইরাস সংক্রমণে গেল চব্বিশ ঘন্টায় ৪২ জন মারা গেছে। দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকে মারা যাওয়ার সংখ্যার দিক থেকে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ। আর এই ৪২জন নিয়ে মারা যাওয়া কোভিড রোগীর মোট সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৪৪ জন।
এছাড়া রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন আরও ২ হাজার ৭৪৩ জন। এতে করে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৭৬৯ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রাত্যহিক অনলাইন বুলেটিনে যুক্ত হয়ে প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা দেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির সবশেষ এই তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি জানান, সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৭৮ জন। সব মিলে এ পর্যন্ত মোট ১৩ হাজার ৯০৩ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ই মার্চ, তার দশ দিনের মাথায় ১৮ই মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। ৩১শে মে ৪০ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, এতদিন সেটাই ছিল এক দিনের সর্বোচ্চ।
মারা যাওয়াদের বিশ্লেষণাত্মক পরিসংখ্যান জানাতে গিয়ে নাসিমা সুলতানা বলেন, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৩৫ জন পুরুষ, ৭ জন নারী। তাদের মধ্যে ৩০ জন হাসপাতালে এবং ১২ জন বাড়িতে মারা গেছেন। এদের ২৭ জন ঢাকা বিভাগের, ৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন সিলেট বিভাগের, ২ জন রাজশাহী বিভাগের, ২ জন খুলনা বিভাগের এবং ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
তিনি বলেন, “ গেল চব্বিশ ঘন্টায় মারা যাওয়া ৪২ জনের মধ্যে এক জনের বয়স ছিল ৯০ বছরের বেশি। এছাড়া ৩ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ১৪ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ছিল ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ছিল থেকে ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।”
বুলেটিনে জানানো হয়, সারা দেশে ৫৫টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫২টি পরীক্ষাগার থেকে নমুনা পরীক্ষার তথ্য এসেছে। সবশেষ নতুন যে দুটি পরীক্ষাগার যুক্ত হয়েছে সেদুটি হল ঢাকার সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার ও গাজীপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজ।
নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২টি পরীক্ষাগারে ১৩ হাজার ১৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯৮৭টি। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ১৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে আনা হয়েছে ৪৬৭ জনকে। বর্তমানে সারা দেশে আইসোলেশনে রয়েছেন ৭ হাজার ৩৯৯ জন রোগী।