|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||
গেল ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন নতুন করে আরো ৪৩৪ জন। মারা গেছেন আরো ৯জন। মারা যাওয়াদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ এবং চারজন নারী। এনিয়ে গেল ৮ই মার্চ থেকে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১১০ জনে গিয়ে ঠেকলো। আর আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৩ হাজার ৩৮২ জন।
মঙ্গলবার ২১শে এপ্রিল রাষ্ট্রের স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিদিনকার অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে করোনার সবশেষ এসব তথ্য জানানো হয়। বলা হয়, যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ষাট বছরে বেশী বয়সী তিনজন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩, এবং ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে রয়েছেন ৩ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৮৭ জন।
অন্যদিকে গেল ২৪ ঘন্টায় পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯৭৪ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ৫৭৮ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ৮৯ জনকে। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকা ৭৬৫ জনের মধ্যে ৫৭৯ জন সুস্থ হয় বাড়ি ফিরে গেছেন।
নারায়ণগঞ্জে আরও তিনজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১০

এদিকে আমাদের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জেলায় করোনাভাইরাসে নতুন করে মারা গেছে আরো ৩ জন। নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ১০ জন। দু’টি ট্রাকে করে সোমবার রাতেও ‘অবরুদ্ধ’ নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে যাওয়ার সময় রূপগঞ্জের ভুলতা এলাকা থেকে ৭০ জনকে ফেরত পাঠিয়েছে পুলিশ।
জেলার করোনাভাইরাস বিষয়ক ফোকাল পারসন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, এ জেলায় গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত আরও তিনজজন মারা গেছেন। এ নিয়ে এ জেলায় মারা গেলেন ৩৩ জন। আ গত চব্বিশ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১০ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২১ জনে।
ঢাকার পরেই নারায়ণগঞ্জে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্কের মধ্যে অবরুদ্ধ ঘোষিত জেলা থেকে বের হওয়া ও ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তারপরও মানুষজন জেলা থেকে বের হয়ে বাড়ি ফিরছে।
জেলার পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, ফতুল্লার পাগলা এলাকা থেকে একজন কাউন্সিলরের সুপারিশ করা একটি কাগজ নিয়ে দুটি ট্রাকে করে ৭০ জন লোক জেলা ছেড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন সোমবার রাতে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জের ভুলতা গাউছিয়া এলাকা থেকে পুলিশ তাদের আটক করে। পরে পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ধান কাটার জন্য কিশোরগঞ্জসহ অন্যান্য এলাকায় যাচ্ছেন বলে জানান। কিন্তু ঘটনা যাচাই করে সত্যতা পাওয়া যায়নি। পরে তাদের বুঝিয়ে নারায়ণগঞ্জের বাসায় পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে আইন-শৃংখলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে তিনি জানান।



ছোঁয়াচে করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে সরকার সবাইকে ঘরে থাকতে বললেও নারায়ণগঞ্জ শহরে তা মানার ক্ষেত্রে খুব একটা গা করছে না মানুষজন। চলছে যানবাহনও। শহরের পাইকারী কাঁচাবাজার, দ্বিগুবাবুর বাজার, কালিরবাজার, চারার গোপ ফলের আড়ত, নিতাইগঞ্জসহ অন্যান্য বাজারঘাটেও মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরুত্ব।
প্রশাসন আরো কঠোর হচ্ছে জানিয়ে, জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন বলেন, “সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আমাদের ঘরে থাকতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। সবার ঘরে থাকা নিশ্চিত করার জন্য আরও বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।”#