|| সারাবেলা প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি ||
খাগড়াছড়ি জেলায় বেড়েই চলেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। সংক্রমিতদের চিকিৎসায় পার্বত্য এই জেলায় শুধু জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালই ভরসা। গত কয়েকদিন থেকে হাসপাতালে শয্যা সংখ্যার তুলনায় রোগীর চাপও বেড়ে চলেছে। চিকিৎসকদের আশংঙ্কা, প্রতিদিন যে হারে শনাক্ত বাড়ছে, তাতে আগামীতে রোগীর সংখ্যা আরো বাড়বে। সঙ্কট দেখা দেভে শয্যারও।
এ অবস্থায় মঙ্গলবার খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু সরেজমিনে হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে জরুরী ভিত্তিতে ত্রিশ শয্যার আরো একটি করোনা ওয়ার্ড চালু করতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের নির্দেশনা দেন।
এসময় তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, জেলায় করোনা রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে সরকারি স্বাস্থবিধি মানার ক্ষেত্রে যদি আমরা সকলে সচেতন ও আন্তরিক হই, তাহলে সবাই মিলে অনেক বেশি ভালো থাকতে পারবো।
এরইমধ্যে পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শঙ্কর চাকমা নিজে উপস্থিত থেকে অবকাঠামোর সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষ করেছেন। তিনি জানান, যত দ্রুত সম্ভব আমরা এটি নির্মাণ করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে বুঝিয়ে দেবো।
এদিকে হাসপাতাল সূত্র বলছে, জেলা সদর হাসপাতালে ৫০ শয্যার করোনা ইউনিট রয়েছে। কোরবানী ঈদের পর হাসপাতালে শয্যার চেয়ে রোগী বেশী ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী হাসপাতালে ৫৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
বাড়ছে টিকা নেয়ার আগ্রহ
দেশজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এই জেলাতেও টিকা নিতে বাড়ছে নারী পুরুষের উপস্থিতি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
শনাক্তের হার ২৮.৯ শতাংশ
জেলায় এ পর্যন্ত কোভিডে মারা গেছে ১৬ জন। চলতি মাসের করোনা শনাক্তের হার ২৮.৯ শতাংশ। জেলায় করোনা সংক্রমণ উপজেলা ভিত্তিক বিবেচনা করলে, জেলা সদর ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সীমান্তর্তী উপজেলা সমূহ পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা ও রামগড় উপজেলায় সংক্রমণের হার অন্যান্য উপজেলা গুলোর চাইতে বেশী।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ জানান, হাসপাতালে রোগীর সংখ্য বাড়ায় আমরা হাসপাতালের ৫০ শয্যার অতিরিক্ত আরো ২০ শয্যার ব্যবস্থা করে রেখেছি। ২৬শে জুলাই খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। তিনি আরো ৩০ শয্যার একটি নতুন করোনা ইউনিট চালু করার জরুরী নির্দেশনা দেন। হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাব নেই বলে তিনি জানান। এছাড়াও জেলায় করোনা টিকা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।