কোভিডে দেশে সর্বোচ্চ মৃত্যু গেলো একদিনে ৭৭ জন কমেছে নতুন সংক্রমণ

গেলো ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত সময়ে মারা গেছেন ৭৭ জন। এই মহামারি শুরু হওয়ার পর এক দিনে এত মৃত্যু এই প্রথম। এনিয়ে সরকারি হিসাবে মহামারীতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৬৬১ জন।

|| সারাবেলা প্রতিবেদন ||

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশে যেমন বাড়ছে সংক্রমিতের নতুন সংখ্যা তেমনি বাড়ছে মৃত্যুও। গেলো ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত সময়ে মারা গেছেন ৭৭ জন। এই মহামারি শুরু হওয়ার পর এক দিনে এত মৃত্যু এই প্রথম। এনিয়ে সরকারি হিসাবে মহামারীতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৬৬১ জন।

মৃত্যুর সংখ্যা বা হার বাড়লেও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা গত কয়েক দিনের তুলনায় গেলো চব্বিশ ঘন্টায় কমেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শনিবার জানিয়েছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৩৪৩ জন নতুন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৯৩৭ জন।

সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত কয়েক দিন ধরেই দিনে ৬ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়ে আসছিল। এর মধ্যে গত বুধবার রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।

এদিকে গত এক সপ্তাহে মৃত্যুর হার ৩০ শতাংশ বেড়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গত ২৮শে মার্চ থেকে ৩রা এপ্রিল পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রমিত মোট ৩৪৪ জন মারা গেছে। আর ৪ঠা এপ্রিল থেকে ১০ই এপ্রিল, এই ৭ দিনে মারা গেছেন ৪৪৮ জন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার পর ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ই মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর ধারাবাহিকভাবে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছিল। গত বছরের ৩০শে জুন দিনে মৃতের সংখ্যা ৬৪ জনে ওঠে, যা ছিল ওই বছরের সর্বোচ্চ সংখ্যা।

এরপর ধীরে ধীরে সংক্রমণ কমতে থাকে, নভেম্বর ডিসেম্বরে মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও জানুয়ারি থেকে তা কমতে কমতে মার্চের শুরুতে তা ৫ জনেও নেমে এসেছিল।

কিন্তু এরপর আবার বাড়তে থাকে সংক্রমণ, সেই সঙ্গে মৃত্যুও। কয়েকদিনের মধ্যেই দিনে মারা যাওয়ার সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে যায়।

চলতি বছরের ১লা এপ্রিল ৫৯ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ৬ই এপ্রিল আগের রেকর্ড ভেঙে এই সংখ্যা হয় ৬৬ জন। তারপর থেকে এই সংখ্যা ৬০ এর নিচে আর নামেনি। ৮ই এপ্রিল ৭৪ জনের মৃত্যু হলে নতুন রেকর্ড হয়, শনিবার তাও ছাড়িয়ে গেল।

স্বাস্থ্য  অধিদপ্তর বলছে, গেলো চব্বিশ ঘন্টায় যে ৭৭ জন মারা গেছেন তাদের বেশীর ভাগের বয়সই ষাটের বেশী। শতকরা হিসাবে তা ৫৬ দশমিক ২০ শতাংশ।

সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ঢাকা বিভাগে, যার শতকরা হার ৫৭ দশমিক ৭১ শতাংশ। ময়মনসিংহ বিভাগে সবচেয়ে কম মানুষ মারা গেছেন, যার শতকরা হার ২ দশমিক ১৫ শতাংশ।

সংবাদ সারাদিন