করোনায় নতুন শনাক্ত ১১২ আক্রান্ত বেড়ে ৩৩০

সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা
সারাদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৩৩০। বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত সারাদেশে ১০৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই ১১২ জনের শরীরে ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এরমধ্যে একমাত্র ঢাকাতেই ৬২ জন। বাকিরা দেশের বিভিন্ন এলাকার। এছাড়া এই ১১২ জনের মধ্যে ৭০ জন পুরুষ এবং নারীর সংখ্যা ৫২জন। আক্রান্তদের মধ্যে আরও একজন গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন, তাতে দেশে কোভিড-১৯ এ মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১ জন। গত এক দিনে নতুন করে কারও সুস্থ হওয়ার খবর আসেনি। এখন পর্যন্ত মোট ৩৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানিয়ে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত পরীক্ষা করা ১০৯৭টি নমুনার মধ্যে শুধু ঢাকাতেই ৬১৮টি। বাকি ৪৭৯টি নমুনা সারাদেশ দেশ থেকে সংগ্রহ করা। একইসঙ্গে মৃত্যুহারের গতি কিছুটা কমেছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য আগে এই অনলাইন ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার সুযোগ থাকলেও এখন তা বন্ধ করে দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একে বলছে ‘স্বাস্থ্য বুলেটিন’।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা এবং আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাও উপস্থিত ছিলেন ব্রিফিংয়ে।
দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভেন্টিলেটরের সংখ্যা নিয়ে সৃষ্ট তথ্যবিভ্রান্তি সর্ম্পকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ভেন্টিলেটর আর আইসিইউ এক জিনিস নয়। তিনি বলেন, দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে এই মুর্হতে ভেন্টিলেটর রয়েছে ৫৫০টি। আর কেনার প্রক্রিয়ায় রয়েছে ৩৫০টি।
আইসোলেনশন ইউনিট সম্পর্কে স্বাস্থমন্ত্রী জানান, রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে ২০০ শয্যার একটি ইউনিট নির্মানে হাত দিয়েছে রাষ্ট্র। এছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অব্যবহৃত পাকা মার্কেটকেও আইসোলেশন সেন্টারে পরিনত করা হচ্ছে। আরেকটি আইসোলেনশন ইউনিট হবে উত্তরার দিয়াবাড়ীতে। আগামী ১০ থেকে ১৫দিনের মধ্যেই এসব আইসোলেশন সেন্টারে পরিনত করার কাজ শেষ হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্রিফিং শেষ হওয়ার পর তথ্য জানাতে শুরু করেন স্বাস্থ অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা। তাকে থামিয়ে দিয়ে সম্প্রচারে আসেন মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ। তিনি এসময়ে দেশবাসীর সামনে একটি ‘আনন্দ’ সংবাদ জানাবেন বলে ঘোষণা দেন। আর সেই ‘আনন্দ’ সংবাদটি হচ্ছে এখন থেকে দেশের ৬৯টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও কলেজসংযুক্ত হাসপাতাল করোনাসহ সকল চিকিৎসা সেবা দিতে বদ্ধ পরিকর।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ বুলেটিন জানানোর এই অনুষ্ঠানে এসে এই ‘আনন্দ’ সংবাদটি জানান বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ ওনার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ। এসোসিয়েশনের সভাপতি ও মহাসচিব জানান, তাদের ২০ হাজার চিকিৎসক জনগনের স্বাস্থসেবায় কাজ করছে।
পরে আবারো ব্রিফিংয়ে আসেন ডা. সানিয়া তহমিনা ও আইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।#

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন