|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||
গেল চব্বিশ ঘন্টায় নতুন করে ১ হাজার ৪১ জন মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৮ হাজার ৮৬৩ জনে। এছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ে মারা গেছেন আরও ১৪ জন । ১৮ই মার্চ প্রথম মৃত্যুর পর থেকে এ পর্যন্ত মারা গেছে ২৮৩ জন।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে যুক্ত হয়ে প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির সবশেষ এসব তথ্য জানান।
সবশেষ তথ্যে গেল চব্বিশ ঘন্টায় কতজন সুস্থ হয়েছেন তা জানানো হয়নি। তবে বুধবার পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৩৬১ জন সুস্থ হওয়ার কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এদিকে গত একদিনে যে ১৪ জন মারা গেছে তাদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৩ জন নারী। ৯ জন ছিলেন রাজধানীর বাসিন্দা, বাকিরা চট্টগ্রামের। মৃত ১৪ জনের মধ্যে ২ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরেরর মধ্যে, ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ২০১ জনকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে অধ্যাপক নাসিমা জানান, বর্তমানে সারা দেশে আইসোলেশনে রয়েছেন ২ হাজার ৫৭০ জন।
নমুনা পরীক্ষার তথ্যে নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১টি ল্যাবে ৭ হাজার ৩৯২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর খোঁজ মেলে গত ৮ই মার্চ; সেই হিসাবে সংক্রমণের দিক থেকে বাংলাদেশ রয়েছে দশম সপ্তাহে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাসিমা সুলতানা এও জানান, অষ্টম সপ্তাহ অর্থাৎ ২৬শে এপ্রিল থেকে ২রা মে পর্যন্ত সময়ে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছিল ৩ হাজার ৭৯২ জনের মধ্যে। সে সপ্তাহে সুস্থ হয়েছিলেন ৬৪ জন, মারা গেছেন ৩৫ জন। নবম সপ্তাহ, অর্থাৎ ৩রা মে থেকে ৯ই মের মধ্যে শনাক্ত হয়েছিলেন ৪ হাজার ৯৮০ জন কোভিড-১৯ রোগী। সুস্থ হয়েছিলেন ২ হাজার ৩৩৭ জন, মারা গেছেন ৩৯ জন।
আর ১০ই মে থেকে শুরু হওয়া চলতি দশম সপ্তাহে এ পর্যন্ত ৭ হাজার ৯৩ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১৮৯ জন, মারা গেছেন ৬৯ জন।