|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||
করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর থকে এ পর্যন্ত সময়ে অর্থাৎ গেল ১০১তম দিনে চব্বিশ ঘন্টায় সর্বোচ্চ শনাক্তের তথ্য জানালো স্বাস্থ্য অধিদফতর। বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৯৮ হাজার ৪৮৯ জন হল।
গেল একদিনে সংক্রমিতদের মধ্যে আরও ৪৩ জন মারা গেছেন, এনিয়ে দেশে করোনায় মৃতের মোট সংখ্যা এখন ১ হাজার ৩০৫ জন।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে যুক্ত হয়ে প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির সবশেষ এসব তথ্য জানান।
সুস্থ হওয়ার পরিসংখ্যান জানাতে গিয়ে নাসিমা সুলতানা বলেন, “আইডিসিআরের ‘অনুমিত’ হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের মধ্যে গেল চব্বিশ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯২৫ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত সুস্থ হওয়ার সংখ্যা দাঁড়াল মোট ৩৮ হাজার ১৮৯ জনে।
মঙ্গলবারের বুলেটিনে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৮৬২ জন নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একদিন পর তা ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ড হল। মঙ্গলবার ৫৩ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
মারা যাওয়াদের বিশ্লেষনাত্মক পরিসংখ্যান দিতে গিয়ে নাসিমা সুলতানা বলেন, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ, ১৫ জন নারী। তাদের ২৭ জন হাসপাতালে, ১৫ জন বাড়িতে মারা গেছেন এবং ১ জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
মৃতদের ২১ জন ঢাকা বিভাগের, ১২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন খুলনা বিভাগের, ৪ জন রাজশাহী বিভাগের, ১ জন সিলেট বিভাগের, ২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের এবং ১ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে ৪৩ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ২ জনের বয়স ছিল ৮০ বছরের বেশি, আর একজন দশ বছরের কম বয়সী এক শিশু। এছাড়া ৯ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ১২ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের এবং ১ জনের বয়স ছিল ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।
বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬১টি ল্যাবের মধ্যে ৫৯টি ল্যাবে ১৭ হাজার ৫২৭ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ৩৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ, মৃতের হার ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে আনা হয়েছে ৭১৮ জনকে। বর্তমানে সারা দেশে আইসোলেশনে রয়েছেন ১০ হাজার ৭৫২ জন রোগী।