|| সারাবেলা প্রতিবেদক ||
করোনাভাইরাস সংক্রমণের গেলো ১৬ মাসে সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখলো বাংলাদেশ। গেলো ২৭শে জুন থেকেই দিনে মৃত্যুর সংখ্যা একশর উপরেই থাকছিল। এর মধ্যে ৪ঠা জুলাই প্রথমবারের মত মৃত্যুর সংখ্যা দেড়শ ছাড়িয়ে যায়। আর পরের তিন দিনের মাথায় তা এক লাফে দুশ ছাড়িয়ে গেল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৭ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে আরও ১১ হাজার ১৬২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
এই ভাইরাসের ভারতীয় ডেল্টা ধরনের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে এপ্রিলের রেকর্ড ভেঙে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আট হাজার ছাড়ায় গত ২৮শে জুন। এরপর ১লা জুলাই থেকে সারা দেশে লকডাউনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। যদিও সারাদেশে শিল্প ও কল-কারখানা এমনকি প্রায় পঞ্চাশ লাখ মানুষের কাজের জায়গা গার্মেন্টস কারাখানাও খোলা রাখা হয়েছে। রাস্তাঘাটে চলছে রিকসা ও ব্যক্তিগত গাড়ী।
এর মধ্যেই মঙ্গলবার ৬ই জুলাই সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৫২৫ জন রোগী শনাক্তের খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরই পরদিন বুধবার শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমে এখনও তা ১১ হাজার ১৬২ জন হয়েছে।
তবে মঙ্গলবারের মতই পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত রোগীর হার রয়েছে ৩১ শতাংশের উপরে। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৮ জনে। তাদের মধ্যে মোট ১৫ হাজার ৫৯৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এ ভাইরাস।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত চব্বিশ ঘন্টায় যে ২০১ জন মারা মারা গেছেন, তাদের ৬৬ জনই ছিলেন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা। ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৫৮ জন।
এদিকে কেবল ঢাকা বিভাগেই গত এক দিনে ৪৭৩২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা দিনের মোট শনাক্তের ৪২ শতাংশের বেশি। খুলনা বিভাগে এক দিনে শনাক্ত রোগী বেড়ে হয়েছে ১৯০০, চট্টগ্রামেও দেড় হাজারের উপরে।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে আরও ৫ হাজার ৯৮৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৫০ হাজার ৫০২ জন।