রেডজোনের তালিকা প্রকাশ নিয়ে বিভ্রান্তি গণমাধ্যমের খবরকে ভিত্তিহীন বলছে টেকনিক্যাল কমিটি

|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||

করোনা সংক্রমণ বিস্তৃতির মুখে রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৪৫টি এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে ঘোষনা করেছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় কমিটি। রেড জোন এলাকা হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১১ এলাকা। দেশের আরো তিনটি জেলারও বিভিন্ন এলাকা এখন রেড জোনের আওতায়।

সিটি কর্পোরেশনগুলোর যেসব এলাকায় প্রতি এক লাখ জনসংখ্যার মধ্যে গত ১৪ দিনে ৬০ জন আক্রান্ত হয়েছে, সেসব এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঢাকার বাইরে যেসব এলাকায় প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ১০ জন আক্রান্ত থাকলে সেসব এলাকাকে ‘রেডজোন’ বলা হচ্ছে।

এদিকে গণমাধ্যমে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির উদ্ধৃতি দিয়ে প্রকাশ করা রেড জোনের এই তালিকা সম্পর্কিত খবরকে ভিত্তিহীন দাবি করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ও ফোকাল পারসন হাবিবুর রহমান খান। এছাড়া স্বাস্থ্যবিভাগও রোববার পর্যন্ত জোনভিত্তিক কার্যক্রমের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।

হাবিবুর রহমান খান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ও ফোকাল পারসন

বিভিন্ন অনলাইন, টেলিভিশনসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জোনভিত্তিক ভাগের প্রকাশিত খবর প্রসঙ্গে হাবিবুর রহমান খান বলেন, “তালিকা তৈরির কাজ চলছে ঠিকই, কিন্তু তা এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। ওইসব গণমাধ্যম কিভাবে তালিকা পেল? এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি।

করোনা প্রতিরোধে সরকার গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি সদস্য সচিব জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাও জানান, জোনভিত্তিক কোনো তালিকা তারা প্রকাশ করেননি। এমন কোনও তালিকা তাদের হাতে পৌঁছায়নি বলেও জানান তিনি।

এদিকে স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে জানা যায় ,রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোন ভাগ করা এলাকাগুলোর পূর্ণাঙ্গ তালিকা একসঙ্গে প্রকাশ করা হবে না। যখন যেসব এলাকা লকডাউন করা হবে, তখনই সেইসব এলাকার নাম প্রকাশ করা হবে।

জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক রোববার বলেন, তারা প্রস্তুতি শেষ করেছেন, এলাকাগুলো চিহ্নিত করেছেন। লক্ডাউন বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করছে তা কবে থেকে হবে। তিনি বলেন, “কাল (সোমবার) থেকে লকডাউনে যেতে পারবে, এমন আমি শুনি নাই। আমরা এলাকাগুলো চিহ্নিত করেছি। বাস্তবায়ন করবে সেসব সংস্থা, তাদের প্রস্তুতি থাকলে তা কাল থেকেই হতে পারে। দুদিন পরেও হতে পারে। তবে ঢাকায় এখনও প্রস্তুতি এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি।”

সার্বিক বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘রাজাবাজারসহ কয়েকটি এলাকার মধ্য দিয়ে জোনভিত্তিক পরীক্ষামূলক লকডাউন আগেই শুরু হয়ে গেছে। অনেকে বিষয়টি না বুঝে জোনভিত্তিক লকডাউন শুরু হতে যাচ্ছে বলে প্রচার করছেন। জোনভিত্তিক এলাকাসমূহের একটি তালিকা অবশ্যই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে রয়েছে। কিন্তু তা জনসম্মুখে প্রকাশ করার বিষয় নয়। লকডাউন বাস্তবায়নকারী কমিটি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাই আগে থেকে তালিকার বিষয়ে জানার এখতিয়ার রাখেন।’

মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘চলমান লকডাউন প্রক্রিয়ায় প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা রেড জোনে অন্তর্ভুক্ত হবে, আবার সংক্রমণরোধে উন্নতি ঘটিয়ে রেড জোন থেকে মুক্তি পাবে। তাই একটি এলাকাকে বেশি সময়ের জন্য রেড জোনে রাখা যেমন ঠিক হবে না, তেমন সংক্রমণের হার বেড়ে গেলে একটি এলাকাকে বেশি দিন ধরে ইয়েলো জোনে রাখাও ঠিক নয়। জোনভিত্তিক লকডাউনের বিষয়টি অনেকটা পরিবর্তনশীল। কোনো এলাকার করোনা পরিস্থিতির অবনতি সেটি এমনিতেই রেড জোনে যুক্ত হয়ে যাবে। আর রেড জোনের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটালে চলে যাবে ইয়েলো ও পরবর্তীতে গ্রিন জোনে।’

ডা. আবুল কালাম আজাদ, মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদফতর

ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘জোনভিত্তিক লকডাউনের পাইলটিংয়ের মাধ্যমে অনেক কিছু শিক্ষা আমরা পাচ্ছি। লকডাউন কার্যকর করার আগে খুব কম সময় পাবেন লকডাউন এলাকার বাসিন্দারা। লকডাউন দেওয়ার অনেক আগে থেকে জানানোর অভিজ্ঞতা ভালো না। লকডাউন এলাকার মানুষ অন্য এলাকায় চলে গেলে লকডাউন দেওয়ার উদ্দেশ্য সফল হবে না। তাছাড়া লকডাউন চলাকালেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহে সমস্যায় পড়তে হবে না এলাকাবাসীর। লকডাউন বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত কমিটি, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের এলাকাবাসীর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহসহ সমস্যাসমূহ সমাধান করার জন্য প্রস্তুত থাকবেন। তবে লকডাউন কার্যকর করার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কমিটি ও প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিষয়টি কয়েকদিন আগেই জানানো হবে, যাতে তারা ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেন।’

মহাপরিচালক আরও জানান, করোনা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে গঠিত এলাকাভিত্তিক কমিটি ও প্রতিষ্ঠানসমূহ রেড জোনে তালিকাভুক্ত করার জন্য কোনো এলাকার নাম প্রস্তাব করলে তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে পর্যালোচনা করে বাস্তবভিত্তিক হলে লকডাউনের জন্য তালিকাভুক্ত করা হবে।

এসব এলাকায় সোমবার থেকে লকডাউন হবে কি না- জানতে চাইলে উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোমিনুর রহমান মামুন জানান, তালিকা তারা পেয়েছেন। তবে এ বিষয়ে আরও কাজ করতে হবে। এটা এখনও খসড়া তালিকা, চুড়ান্ত কোনো নয়। এটা নিয়ে আমরা স্টাডি করছি। এলাকাগুলোকে আরও সুনির্দিষ্ট করতে হবে। আর এসব এলাকায় কাল (সোমবার) থেকে লডডাউন হবে কি না এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্তের কথা আমার জানা নেই।”

এদিকে, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন রোববার সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকার মূলত জোনভিত্তিক লকডাউনের মাধ্যমে করোনা মোকাবিলার কৌশল গ্রহণ করেছে। সেই কৌশলে রেড জোন চিহ্নিত এলাকায় লকডাউন ও সাধারণ ছুটি থাকবে। এছাড়া আগের শর্তেই সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন ও সরকারি-বেসরকারি অফিস চলবে।’

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জোনিং করে লকডাউন, এটা খুবই একটা কার্যকর ব্যবস্থা বলে আমরা মনে করছি। একইসঙ্গে চার-পাঁচটি স্থান রেডজোন ঘোষণা করে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হতে পারে। পরীক্ষামূলক লকডাউন চলছে রাজাবাজারে। সেখানকার ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলোকে সংশোধন করা হবে। একটি স্থানকে শুধু লকডাউন করলেই চলবে না। সেখানে বসবাসকারী মানুষের জন্য আমাদের কিছু দায়িত্ব কর্তব্য রয়েছে, এগুলো নিশ্চিত করতে হবে।’

ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘দেশের বিদ্যমান সংক্রামক রোগ আইন অনুযায়ী রাজধানীর বাইরে জেলাগুলোয় কোনো এলাকা লকডাউন করতে হলে সেই জেলার সিভিল সার্জনের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমতি নিয়েই লকডাউন করতে হবে। সেক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার লকডাউন কার্যকর করবেন।’

ফরহাদ হোসেন, প্রতিমন্ত্রী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

তিনি আরও বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার বাইরে যে এলাকায় প্রতি লাখে ১০ জন বা এর বেশি কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী থাকবে সেখানেই রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউন করা হবে। এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে রোগীর অবস্থান করা জায়গা বা এলাকা চিহ্নিত করার কাজ চলছে। কোন এলাকায় লকডাউন করা হবে তা আগে থেকে বলা হলে তো লোকজন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলে যাবে। রেড জোনে জনসাধারণের চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। যাদের খাবার প্রয়োজন তা পৌঁছে দেওয়া হবে।’

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ই জুনের পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মতো নির্দেশনাসহ অফিস ও গণপরিবহন খোলা থাকবে, সেজন্য একটি অর্ডার জারি করা হবে। বর্তমানে যে অবস্থায় চলছে সবকিছু সেভাবেই চলবে। নতুন করে কোনো ছুটি ঘোষণা করা হবে না। তবে যে এলাকা রেড জোনের আওতায় থাকবে, সেখানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে। এ সংক্রান্ত আরও কিছু পরামর্শ ও নির্দেশনা আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পেয়েছি।’

এদিকে আরেকটি সূত্র জানায়, জোনভিত্তিক কার্যক্রম নিয়ে রোববার রাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। ওই বৈঠকে জোনগুলো চিহ্নিত করে কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিস্তৃতির দুই মাসের বেশি সময় সারাদেশে ‌‌বিভিন্ন ধরণ ও মাত্রার বিধিনিষেধসহ ‘সাধারণ ছুটি’ জারি রাখার পর গেল ৩১শে মে থেকে বেশিরভাগ বিধিনিষেধ তুলে নেয় সরকার।

এরপর জীবিকাশ্রয়ী মানুষের চলাফেরা বাড়তে থাকায় বাড়তে থাকে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে এলাকা ধরে ধরে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার অনুযায়ী লাল, সবুজ ও হলুদ জোনে ভাগ করে প্রয়োজন অনুযায়ী বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

সবশেষ সিদ্ধান্ত মত রাজধা্নীর পূর্ব রাজাবাজার ও নারায়ণগঞ্জের তিনটি এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে রেডজোন ঘোষণা করা হয়। দুই থেকে তিনদিন মানুষকে নানানও বিধিনিষেধের মধ্যে রেখে আবারও তুলে নেয়া হয় “রেডজোন” নিষেধাজ্ঞা।

এমন অবস্থায় শনিবারের সভায় রাজধানীর ৪৫টি এলাকা, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১১টি এলাকা ও দেশের অন্য তিনটি জেলার বিভিন্ন এলাকাকে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটি।

ঢাকা দক্ষিণের যেসব এলাকা

যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, মুগদা, গেন্ডারিয়া, ধানমন্ডি, জিগাতলা, লালবাগ, আজিমপুর, বাসাবো, শান্তিনগর, পল্টন, কলাবাগান, রমনা, সূত্রাপুর, মালিবাগ, কোতোয়ালি, টিকাটুলি, মিটফোর্ড, শাহজাহানপুর, মতিঝিল, ওয়ারী, খিলগাঁও, পরীবাগ, কদমতলী, সিদ্ধেশ্বরী, লক্ষ্মীবাজার, এলিফ্যান্ট রোড, সেগুনবাগিচা।

ঢাকা উত্তরের যেসব এলাকা

বসুন্ধরা, গুলশান, বাড্ডা, ঢাকা সেনানিবাস, মহাখালী, তেজগাঁও, রামপুরা, আফতাবনগর, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, মগবাজার, এয়ারপোর্ট, বনশ্রী, রায়েরবাজার, রাজাবাজার, উত্তরা, মিরপুর।

চট্টগ্রামের যেসব এলাকা

চট্টগ্রাম বন্দর এলাকার ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড (আংশিক), পতেঙ্গার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড, পাহাড়তলির ১০ নম্বর ওয়ার্ড, কোতোয়ালীর ১৬, ২০, ২১ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড, খুলশীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড, হালিশহর এলাকার ২৬ নম্বর ওয়ার্ড।

জেলা পর্যায়ে

আরও তিনটি জেলার কয়েকটি উপজেলা ‘রেড জোন’র আওতায় পড়েছে।

নারায়ণগঞ্জ

জেলার আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ সদর এবং পুরো সিটি করপোরেশন এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

গাজীপুর

এই জেলার উপজেলা ‘রেড জোন’র আওতায় পড়েছে।

নরসিংদী

সদর মডেল থানা, মাধবদী ও পলাশ এলাকা পড়েছে ‘রেড জোন’র মধ্যে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে শনিবারের সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, জেলার জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন এবং পুলিশ সুপার মিলে এসব জোনের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে লাল এলাকা চিহ্নিত করবেন।

১৭ thoughts on “রেডজোনের তালিকা প্রকাশ নিয়ে বিভ্রান্তি গণমাধ্যমের খবরকে ভিত্তিহীন বলছে টেকনিক্যাল কমিটি”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন