|| উপজেলা প্রতিনিধি, নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) ||
মাদ্রাসা পড়ুয়া আপন জেঠাতো ভাইয়ের ধর্ষণের শিকার হলো আট বছরের এক শিশু। অভিযুক্ত ধর্ষকের নাম আশরাফুল ইসলাম মাহিন (১৯)। সে উপজেলার দৌলখাঁড় ইউনিয়নের কেকৈয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী আলা উদ্দিনের একমাত্র ছেলে এবং জোড্ডা মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্র।

এ ঘটনায় রোববার শিশুটির পরিবার থানায় গেলেও অদৃশ্য কারণে মামলা না নিয়ে তাদেরকে সোমবার (আজ) থানায় যেতে বলে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ।
ভিকটিমের পরিবার বলছে, ধর্ষিত শিশুটি তার অসুস্থ দাদির কাছে ঘুমাতো। এ সুযোগে ভাই মাহিন মুখ চেপে ধরে একাধিকবার শিশুটিকে ধর্ষণ করে।
বিষয়টি জানাজানি হলে, ধর্ষকের মা কাজল বেগমের মামা নাঙ্গলকোট বেগম জামিলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক গোলাম সারোয়ার বিএসসি ও ধর্ষকের ফুফু হাসিনা বেগমসহ অন্য স্বজনরা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। এবং ভিকটিম ও তার মাকে মামলা না করতে চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ভিকটিমের পরিবার।
ঘটনার সত্যতাসমেত ধর্ষকের বাবা ও ফুফুর স্বীকারোক্তিমূলক একাধিক অডিও ক্লিপ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। এ ঘটনায় ধর্ষকের মা কাজল বেগমের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। প্রতিবারই একটি মেয়ে কল রিসিভ করে তার মা বাড়িতে নেই বলে জানায়।
এ ঘটনায় মুঠোফোনে সাংবাদিক পরিচয়ে ‘থানায় কোন মামলা হয়েছে কিনা’ জানতে চাইলে নাঙ্গলকোট থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন- কিসের তথ্য, কি অভিযোগ, কিসের মামলা? তথ্য লাগলে আপনি থানায় আসেন, তথ্য দিবো।
তবে, রোববার সন্ধ্যায় ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী এ বিষয়ে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ের প্রচার সম্পাদক খন্দকার আলমগীর হোসাইনকে জানিয়েছেন, “ধর্ষিত শিশুর পরিবার থানায় এসেছে। আমরা তাদেরকে সোমবার (আজ) আসতে বলেছি। আসলে মামলা নিবো।”