|| অনলাইন প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম ||
করোনাকালে ঘরবন্দি মানুষের আনন্দবিকৃতির শিকার হচ্ছে প্রাণীরা। কয়েকদিন আগে সিলেটে দুটি মেছো বাঘ, ছয়টি শেয়াল ও িএকটি বেজিকে রাস্তার ওপর কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয় যুবকেরা। এরইমধ্যে এমনি নৃশংস খুনের পুনরাবৃত্তি ঘটালো চট্টগ্রামের বাঁশখালীর যুবকেরা। একটি মেছো বাঘকে পিটিয়ে খুন করে সেটিকে কাঁধে নিয়ে উল্লাস করে স্থানীয় কিছু যুবক। পরে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয় বাঘটিকে।
গেল বুধবার ৩রা জুন বাঁশখালি উপজেলার কাথরিয়া ইউনিয়নের বাগমারায় প্রাণী খুনের নিষ্ঠুর এই ঘটনা ঘটানো হয়। বিকৃত আনন্দের শিকার যুবকেরা বাঘটিকে খুন করেই ক্ষান্ত হয়নি। মৃত বাঘের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দিলে শুক্রবার ৫ই জুন ঘটনাটি জানা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. শাকিল উদ্দিন জানান, গত বুধবার ৩রা জুন সন্ধ্যার দিকে বাগমারা গ্রামের খালের পাশে ওই মেছো বাঘটিকে দেখতে পেয়ে গ্রামবাসী হামলা করে। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এরপর বাঘটি কাঁধে নিয়ে উল্লাস করে স্থানীয় কয়েকজন যুবক।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রমিজ জানান, ‘বেশ কয়েকদিন ধরে একটি বাঘ বেপরোয় হয়ে গ্রামে ঢুকে গৃহপালিত পশুদের ওপর হানা দেয়। গত বুধবার এলাকার ২ থেকে ৩শ’ মানুষ বাঘটিকে ধাওয়া করে হত্যা করে। তবে এতোগুলো মানুষের মধ্যে ঘটনার সাথে প্রকৃতপক্ষে কারা জড়িত তা জানাতে পারেননি তিনি।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘মেছো বাঘ হত্যার কোন খবর তাদের কাছে নেই। এটা বনবিভাগ সংশ্লিষ্ট বিষয়। তবে ঘটনাটি জানার চেষ্টা করছেন তারা । জানতে পারলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।’
এ ব্যাপারে জলদী অভয়ারন্য রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বাঁশখালী ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা মু. আনিসুজ্জামান শেখ জানান, ‘গ্রামবাসীর মধ্যে সচেতনার অভাবে এ ধরনের বিপন্ন প্রাণী হারিয়ে যাচ্ছে। মেছো বাঘ দেখলেই গ্রামবাসী কৌতূহল ও অতি উৎসাহী হয়ে হত্যা করছে। গ্রামবাসীর হাত থেকে এদের বাঁচানো যাচ্ছে না। তিনি আরো জানান, কাথরিয়া বাঘমারায় একটি মেছো বাঘ হত্যার খবর পেয়ে আজ (শুক্রবার) একটি টিম ঘটনাস্থলে যান। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে ।