|| সাগর চৌধুরী, মধ্যপ্রাচ্য প্রতিনিধি ||
করোনাঅভিঘাতে যারপর নাই কষ্টে রয়েছে সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশীরা। বিশেষ করে যারা শ্রমজীবী হিসেবে এই দেশটিতে কাজ করতে এসেছেন, তাদের বেশীর ভাগই কাজ হারিয়েছেন করোনায়। বিদেশি নাগরিক হওয়ায় সৌদি সরকারের দেওয়া কোন সহায়তাই পাচ্ছেন না তারা। বাংলাদেশের দূতাবাস থেকে যে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে তাও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
এসব কারণে হতাশা, বাড়ির মানুষের জন্য দু:শ্চিন্তা আর বেকারত্বের অভিঘাতে অনেকেই হয়ে পড়ছেন মানসিকভাবে অসুস্থ। হৃদরোগেও আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। ইতোমধ্যে মারাও গেছেন বেশ ক’জন। এদিকে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত একজন নারীসহ ১৪০ জন বাংলাদেশী মারা গেছেন। এদের মধ্যে রিয়াদ অঞ্চলে ৩৮ এবং জেদ্দা অঞ্চলে ১০২ জন বাংলাদেশির মৃত্যু খবর দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ড. মুহাম্মদ আল আবদেল আলী ২১শে মে জানান, “গত ২৪ ঘণ্টায় সৌদি আরবে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫ শত ৩২জন। এই নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৭৭ জন। এদের মধ্যে ২শ’ ৮১ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন। এই পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ শত ৫১ জনে। অন্যদিকে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫ শত ৬২জন, দেশটিতে সর্বমোট সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩৬ হাজার ৪০জন।
এদিকে তৃতীয় পর্যায়ে করোনা টেস্ট শুরু করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, নির্দিষ্ট হাসপাতাল, পাড়া মহল্লার পর এবার যানবাহনের আরোহীদের করোনা টেস্ট করা হবে। এছাড়া শহরের প্রবেশমুখে বসানো হচ্ছে ভাইরাস নিরোধক দরজা। তাদের বিশ্বাস, এতে করে করোনা সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সম্ভব সকল আগাম পদক্ষেপ নিয়ে আসছে দেশটি। যার কারণে মৃত্যুর হার ০.৬ শতাংশে রয়েছে। যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম।