|| অনলাইন প্রতিনিধি, জামালপুর ||
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতাকে মারধর ও তার পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন পৌরমেয়র রুকুনুজ্জামান রোকন। এমন অভিযোগ করে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী। মেয়রের হুমকিধামকি ও বাসা অবরুদ্ধ করে রাখায় করোনাদুর্যোগে সরকারি দায়িত্বও পালন করতে পারছেন না তিনি।
অভিযোগ সম্পর্কে পৌর মেয়র রুকুনুজ্জামান রোকনকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, তাকে কোন মারধর করা হয়নি। তবে মেয়র ক্ষুব্ধ কন্ঠে বলেন, ‘সে (গোলাম রব্বানী) নিজেকে বড় আওয়ামী লীগার দেখিয়েছে, আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতার রেফারেন্স দিয়েছে। আমি মেয়র, আমারও ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার রয়েছে।’ আগামী সাতদিনের মধ্যে তার বাড়ি ভেঙে দেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গোলাম রব্বানী বলেন, “সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার গোলাম রব্বানী পৌরসভার আরামনগর কাঠপট্টির বাসায় বসবাস করেন। পৌর মেয়র রুকুনুজ্জামান রোকন ২২শে এপ্রিল সকালে দলবল নিয়ে অতর্কিত ওই বাসায় হামলা করেন। এসময় গোলাম রব্বানী সালাম দিয়ে কথা বলতে চাইলে মেয়র তাকে মারধর শুরু করেন। পরিবারের লোকজন এগিয়ে গেলে দলবল নিয়ে তাদেরও মারা হয়। একপর্যায়ে তাকে পৌরসভা ভবন পর্যন্ত টেনেহেচড়ে নিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমার ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার আছে, তোকে এ্যারেস্ট করলাম।’
এসময় তিনি মেয়রকে করোনা সংক্রান্ত অফিসের জরুরি কাজের কথা বললে মেয়র ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘তোর অফিস থু।’ বিষয়টি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশাকে কল করে জানাতে চাইলেও মেয়র হাত থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেন এবং আওয়ামী লীগের সভাপতির নাম ধরেও গালি দিতে থাকেন।
গোলাম রব্বানী অভিযোগ করেন, ঘটনার পর মেয়র পুনরায় বাসার সামনে এসে ফেসবুক লাইভে উল্টো তার বিরুদ্ধে মনগড়া বক্তব্য দেন। তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে বাসা উচ্ছেদ ও পরিবারের লোকদের খুন-জখমের হুমকি দিচ্ছেন। বর্তমানে বাসার সামনে ক্যাডারদের পাহারা রাখায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় তিনি সরকারি দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না।”
এদিকে গোলাম রব্বানী নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমান জানান, পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মেয়রের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#