||যাপিতজীবন ডেস্ক ||
করোনাভাইরাস সংক্রমণের দুই ধরনের পর্যায় দেখতে পাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা। এর একটি হচ্ছে সামাজিক আর একটি হচ্ছে শারীরিক। আসুন আমরা জেনে নিই এই সামাজিক ও শারীরিক স্তরগুলো সম্পর্কে।
সামাজিক স্তর

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও এর ব্যাপকতার ওপর ভিত্তি করে এর সামাজিক বিস্তারকে চারটি স্তরে ভাগ করেছে।
• যখন কোন একজনেরও সংক্রমণ শনাক্ত করা যায়নি এমন পরিস্থিতিকে বলা হচ্ছে স্তর-১।
• বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তি শনাক্ত হওয়া ও তাঁদের মাধ্যমে দু-একজনের সংক্রমণ ঘটলে তখন সেটা স্তর-২।
• নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় সংক্রমণ সীমিত থাকলে তা স্তর-৩।
• আর স্তর-৪ হলো সংক্রমণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সামাজিক স্তরবিন্যাসের দিক থেকে বাংলাদেশ এখন করোনা সংক্রমণের চতুর্থ স্তরে রয়েছে।
শারীরিক সংক্রমণ স্তর



এই ভাইরাসটি যখন কোন মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়, তখন তা পাঁচটি স্তরে বিস্তৃত হয়ে থাকে।
স্তর ১ – কোন প্রকার উপসর্গ ছাড়াই রোগীর শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এই স্তরে রোগী কোন অসুস্থতা বোধ করে না। স্বাভাবিক জীবনযাপন করেন।
স্তর ২ – আক্রান্তের শরীরে মৃদূ উপসর্গ দেখা যায়। থাকে জ্বর, শুকনো কাশি, একই সঙ্গে রোগী দূর্বল বোধ করেন। এই স্তরে সংক্রমণ বিস্তারের বিস্তর ঝুঁকি থাকে।
স্তর ৩ – নিউমোনিয়ার মত রোগের সব লক্ষণ স্পষ্ট হয় এই স্তরে। এসময়ে রোগীদের নিউমোনিয়ার মত লক্ষণতো দেখা দেয়ই। সেইসঙ্গে হাইপোক্সেমিক রেসপিরেটরি ফেইলর, সেপসিস ও সেপটিক শকের মত জটিলতা দেখা দেয়।
স্তর ৪ – এই সময়ে রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। অবস্থা এমন হয় যাতে বাড়তি অক্সিজেন দরকার হয়। রোগীর অবস্থা আরো জটিল হয়ে ওঠে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু বলছে, করোনা আক্রান্ত প্রতি ৬ জনে একজনেরই মারাত্মক শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
স্তর ৫ – রোগীকে ভেন্টিলেটরসহ ইনকিউবেশনে রাখতে হয়। ভেন্টিলেটর ছাড়া রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার আর কোন উপায় থাকে না।
তবে করোনার এমন ভয়াবহতার পর্যায়ে এসে কপালে ভাঁজ পড়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের। কেননা এখন যাদের শরীলে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ছে, আগে থেকে তাদের শরীরে পাওয়া যাচ্ছে না কোন উপসর্গ। আর থাকলেও তা খুবই মৃদূ পর্যায়ের। যে কারণে আগে থেকে কোন কিছুই আঁচ করা যাচ্ছে না, কে আক্রান্ত হয়েছেন আর হননি।#