আমদানি-রপ্তানি বাড়ছে চট্টগ্রাম বন্দরে

|| অনলাইন প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম ||
করোনা বিপর্যয়ের মধ্যেও আমদানি-রফতানি বাড়ছে চট্টগ্রাম বন্দরে। প্রতিবছর রোজা ও বাজেটের আগে নিত্য পণ্যের আমদানি বেশিই হয়ে থাকে। এবছরও ফেব্রুয়ারির চেয়ে মার্চে আমদানি বেশি হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে তা হয়নি। এবার চীনের উহানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রভাব পড়েছে ফেব্রুয়ারিতেই। তারপরও দেশের আমদানি রপ্তানি ও নিত্যপণ্যের সাপ্লাই চেন স্বাভাবিক রাখতে অপারেশনাল কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টা চালু রেখেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। চীনে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় গত ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে আমদানি ও রপ্তানি বেড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে।
বন্দর সূত্র বলছে, করোনাভাইরাসের আতঙ্কেের মধ্যেও চট্টগ্রাম বন্দরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে জাহাজ এসেছিলো ৩৫৭টি, ফেব্রুয়ারিতে ৩৬৪টি ও মার্চে ৯ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়ে ৩৬৬টি জাহাজ আসে। ২০১৯ সালে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত জাহাজ এসেছিলো যথাক্রমে ৩১৫, ২৯০ ও ৩৩৮টি।
এদিকে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত কনটেইনারে পণ্য এসেছে যথাক্রমে ১৮ লাখ ৭৬ হাজার ২৪৯ টন, ১৫ লাখ ৮১ হাজার ৮৪৮ টন ও ১৬ লাখ ৮২ হাজার ১৬ টন। এ সময় রফতানি হয়েছে যথাক্রমে ৬ লাখ ৪৩ হাজার ১৭০, ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৫৭৯ ও ৬ লাখ ৪ হাজার ৫৩৮ টন।
বন্দরের পরিবহন বিভাগের তথ্যমতে, বাল্ক ও কনটেইনার কার্গো মিলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানুয়ারিতে ১ কোটি ৮ লাখ ৯৬ হাজার ৪৬৮ টন, ফেব্রুয়ারিতে ১৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ কমে ৯৩ লাখ ৯৮ হাজার ৭৭৯ টন এবং মার্চে ৯ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়ে ১ কোটি ২ লাখ ৬৪ হাজার ৪০২ টন কার্গো হ্যান্ডলিং করেছে।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, শিল্পকারখানার কাঁচামাল, মূলধনী যন্ত্রাংশের পাশাপাশি নিত্যপণ্যের ক্ষেত্রে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার উপর নির্ভর করে আমদানি এবং বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদার ওপর রপ্তানি হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশ থেকে আসা জাহাজের নাবিকদের স্ক্রিনিং, জাহাজ বন্দর ছাড়ার পর ১৪ দিন সাগরে কোয়ারেন্টিন, বন্দরের ভেতরে প্রবেশের ক্ষেত্রে সবার তাপমাত্রা পরীক্ষা, হাত ধোয়া, মেডিক্যাল টিমের ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।#

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন