পুরো টাঙ্গাইল জেলা লকড ডাউন

অনলাইন প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইল জেলা এখন অন্যান্য জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিস্তার ঠেকাতে এড়াতে জেলাজুড়ে ঘোষণা করা হয়েছে লকড ডাউন।
মঙ্গলবার জেলা সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবহিনী ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
লকড ডাউন কার্যকর করতে জেলার সীমান্ত এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বিশেষ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেকপোস্ট রয়েছে পৌর এলাকার চারপাশে। যাতে শহর বা জেলায় কোন গণ পরিবহন কিংবা মানুষ ঢুকতে না পারে। একইসঙ্গে কেউ শহর বা জেলার কেউ যেন বাইরে যেতে না পারে সে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। জনসমাগম কমাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শহরে ছোট ছোট যানবাহনও। পরবর্তি নিদের্শনা না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম এসব সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেন, ওষুধ, খাদ্য পণ্যবাহী যানবাহন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মী, সংবাদকর্মীরা এই সিদ্ধান্তের বাইরে থাকবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনস ছাড়া সকল হাটের অন্যন্য দোকানপাট বন্ধ থাকবে। অন্যদিকে জনগণকে কোনো কারণ ছাড়া ঘর থেকে বের হতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন এবং করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকট পরিস্থিতি মোকাবিলায় গ্রামে গ্রামে ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, সদর আসনের সাংসদ ছানোয়ার হোসেন, ঘাটাইল শহীদ সালাউদ্দিন সেনানিবাসের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সোহেল রানা, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোশারফ হোসেন খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শহীদ উল্লাহ, পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরন প্রমুখ।
সভায় সিভিল সার্জন অফিস থেকে জানানো হয়, টাঙ্গাইল জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ২২ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। তাদের কারও মধ্যেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
সিভিল সার্জন অফিস আরও জানায়, টাঙ্গাইলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন চার জন। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত মোট কোয়ারেন্টিনে থাকা মানুষের সংখ্যা ৬১। এছাড়া নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হওয়ায় ১৭২৯ জন হোম কোয়ারেন্টিন থেকে বের হয়েছেন। টাঙ্গাইলে মোট ১৩টি আইসোলেশন সেণ্টার খোলা হয়েছে।#

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন