|| সারাবেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম ||
গত দুই দিনের বৃষ্টি আর উজানের ঢলে ধরলা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এর ফলে কুড়িগ্রামর ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের ৪টি গ্রাম ধরলা নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে। নতুন করে ভাঙনের কবলে পড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে ওই গ্রামে বসবাসকারী মানুষজন। ঘরবাড়ী হারানোর শংকায় পড়েছেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ধরলা নদীর তীরে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন তারা।
চর মেখলির বাসিন্দা ওসমান আলী জানান, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ধরলার ভাঙনের ঘরবাড়ী হারিয়ে অনেকেই নিস্ব হয়ে গেছে। এবারো শুরুতে ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা, বুদার চর, চর মেখলি ও বড় বাসুরিয়া গ্রামে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ইতিপূর্বে ভাঙনে ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, মসজিদ ও ঈদগাহ ময়দানসহ বিভিন্ন স্থাপনা, আবাদি জমি, গাছপালা এবং শতাধিক পরিবারের বসতভিটা ভাঙনে বিলীণ হয়েছে।
বড়ভিটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খয়বর আলী জানান, আমরা স্থায়ী ভাঙন রোধে দীর্ঘদিন ধরে আবেদন জানিয়ে আসছি। ভাঙনে নি:স্ব হওয়া পরিবার গুলোর তালিকা করা হচ্ছে। তাদের মাঝে ত্রান বিতারণ করা হবে।
এদিকে, ওই এলাকার নারী পুরুষ একত্রে হয়ে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বৃহস্পতিবার ধরলা নদীর তীরে মেখলি গ্রামে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে।
এসময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বড়বাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আশরাফুল হক মিঠু, স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কাশেম, বদিয়ার রহমান, আব্দুল মতিন, শওকত আলী, সাহেব উদ্দিন ও মমিন মিয়া।
বক্তারা বলেন, প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। দ্রুত এই ভাঙ্গন রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ জানান তারা।
এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী ওমর ফারুক জানান, ওই এলাকার ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে কাজ করা হবে।