শীতলক্ষ্যায় লঞ্চ ডুবিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮

নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চ ডুবিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮ জন হয়েছে। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করছে ফায়ার সার্ভিস এবং মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ ||

নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চ ডুবিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮ জন হয়েছে। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করছে ফায়ার সার্ভিস এবং মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার কয়লাঘাট এলাকায়  সাবিত আল আসাদ নামের লঞ্চটি একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায়। রাতেই সেখান থেকে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক জানান, উদ্ধার অভিযান শেষ করে মরদেহগুলো ফায়ার সার্ভিসকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দিচ্ছেন।

লঞ্চটি উদ্ধার করা হচ্ছে। ছবিঃ সংবাদ সারাবেলা।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ঢাকার সহকারী পরিচালক সালেহ উদ্দিন জানান, আমরা ২৮টি মরদেহ উদ্ধার করেছি।

এরআগে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক জানান, রাতে উদ্ধারকাজ বন্ধ থাকলেও সোমবার তা ফের শুরু করা হয়। বেলা পৌনে একটার দিকে লঞ্চটি উদ্ধার করার পর তাতে ১৯ জনের লাশ পাওয়া যায়। এর আগে উদ্ধার করা হয় আরও পাঁচজনের লাশ। যাদের লাশ পাওয়া গেছে তাদের একজন শিশু আর ১৫ জন নারী। অন্যরা সবাই পুরুষ।

ইউএনও নাহিদা বলেন, স্বজনরা নিখোঁজদের যে তালিকা দিয়েছেন সেই অনুযায়ী আর নয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের সন্ধানে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে স্বজনরা জানতে পারেননি এমন আরও কেউ নিখোঁজ থাকতে পারে বলে এলাবাসীর ধারণা।

এদিকে যে চারজনের মরদেহ স্বজনরা নিয়ে গেছেন তারা হলেন, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মালপাড়া এলাকার হারাধন সাহার স্ত্রী সুনিতা সাহা (৪০), উত্তর চরমসুরা এলাকার অলিউল্লাহর স্ত্রী সখিনা বেগম (৪৫), একই এলাকার প্রীতিময় শর্মার স্ত্রী প্রতিমা শর্মা (৫৩),  নয়াগাঁও পূর্বপাড়া এলাকার মিথুন মিয়ার স্ত্রী সাউদা আক্তার লতা (১৮)।

ছবিঃ সংবাদ সারাবেলা।

এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরী ববিকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে চার সদস্যের আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

সংবাদ সারাদিন