আনোয়ারায় দেদার বিক্রি হচ্ছে রং ও জেলি মেশানো সামুদ্রিক মাছ

স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আনোয়ারা ও আশেপাশের এলাকা থেকে ধরা বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছকে দীর্ঘক্ষণ তাজা রাখতে বিষাক্ত রং ও জেলি মেশাচ্ছে। আর এসব রং ও জেলি মেশানো মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে আনোয়ারা ও আশেপাশের হাটবাজারে।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, আনোয়ারা,(চট্টগ্রাম) ||

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে আনুমানিক ১৪০ কেজি রং ও জেলি মেশানো চিংড়ি ও পোয়া  মাছ জব্দ করেছে উপজেলা মৎস্য অধিদফতর। 

বৃহস্পতিবার ৪ঠা মার্চ ভোরে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. রাশিদুল হকের নেতৃত্বে কালাবিবির দিঘি  মৎস্য আড়ত ও চাতুরী চৌমুহনী বাজার এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় ১২৫ কেজি জেলি মেশানো চিংড়ি এবং ১৫ কেজি রং মেশানো সামু্দ্রিক পোয়া মাছ জব্দ করা হয়। পরে জব্দ করা এসব মাছ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জুবায়ের আহমেদের উপস্থিতিতে পুঁতে ফেলা হয়। 

স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আনোয়ারা ও আশেপাশের এলাকা থেকে ধরা বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছকে দীর্ঘক্ষণ তাজা রাখতে বিষাক্ত রং ও জেলি মেশাচ্ছে। আর এসব রং ও জেলি মেশানো মাছগুলো বিক্রি  হচ্ছে আনোয়ারা ও আশেপাশের হাটবাজারে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কমকর্তা রাশিদুল হক বলেন, রং ও জেলি মেশানো মাছ মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মাছে জেলি ও রং মিশিয়ে বাজারজাত করছে এমন তথ্যের  ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে জব্দ মাছগুলো পুঁতে ফেলা হয়।

সংবাদ সারাদিন