একুশের দিনে বেনাপোল শূন্যভূমিতে মিললো দুই বাংলার মানুষ

অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে স্মরণ করেন ৫২ সালের ভাষা শহীদদের, যাদের আত্মত্যাগের স্মরণে পুরো বিশ্ব আজ একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, বেনাপোল ||

ভাষার টান আর মনের আবেগে কোভিড-১৯ উপেক্ষা করে সীমিত পরিসরে হলেও প্রতি বছরের মতো এবারও অনুষ্ঠিত হলো ভারতের পেট্রপোল ও বাংলাদেশের বেনাপোলের মানুষের মিলনমেলা। সীমান্তের জিরো পয়েন্টে দুইবাংলার মানুষদের মিলন মেলা উপলক্ষে নির্মান করা হয় একুশে মঞ্চ। এবারের এই মিলনমেলার আয়োজন করেছে দুই বাংলার আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন পরিষদ।

ছবি: সংবাদ সারাবেলা

তবে মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে এবার মিলনমেলা অনুষ্ঠান সীমিত পরিসরে করা হয়েছে। বেনাপোলে কোন অনুষ্ঠান না হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে ১০০ জন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন ভারতীয় একুশের অনুষ্ঠানে।

প্রতিবছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি বেনাপোল চেকপোস্টের নোম্যান্সল্যান্ডে উদযাপিত হয় যৌথভাবে। এবারই ব্যতিক্রম করোনার কারণে। এছাড়া সাংবাদিকদের প্রবেশেও থাকে বাধা। বাংলাদেশ থেকে মাত্র ৫ জন সাংবাদিকের প্রবেশের অনুমতি মেলে।

ছবি: সংবাদ সারাবেলা

একুশের মিলনমেলা অনুষ্ঠানের বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বনগাঁর পৌরমেয়র শঙ্কর আঢ্য।

সকালে অনুষ্ঠান শুরুর আগেই নিজ নিজ ভূখন্ডে অপেক্ষায় ছিলেন আয়োজকরা। তারপর সীমানা পেরিয়ে শূন্যরেখায় পা রাখেন দুই দেশের প্রতিনিধি দল।

ছবি: সংবাদ সারাবেলা

বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্রাচার্য, যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন, বেনাপোল কাস্টম কমিশনার মো. আজিজুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মনজু, জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, ভারতের বনগাঁর পৌর মেয়র শঙ্কর আঢ্য, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের প্রাক্তন বিধায়ক ও মেন্টর গোপাল শেঠ, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সহ সভাপতি শ্রীকৃষ্ণ গোপাল ব্যানার্জী, বনগাঁ লোকসভার প্রাক্তন সংসদ শ্রীমত্তা মমতা ঠাকুরসহ উভয় দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনের কর্মকর্তারা, কবি, সাহিত্যকরা।

ছবি: সংবাদ সারাবেলা

অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে স্মরণ করেন ৫২ সালের ভাষা শহীদদের, যাদের আত্মত্যাগের স্মরণে পুরো বিশ্ব আজ একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে।

এসময় তাদের মুখে ধব্বনিত হয় ”আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি”।

সংবাদ সারাদিন