সুনামগঞ্জে রোহিঙ্গা নারী বিয়ে করে শ্রীঘরে দুইভাই

সুনামগঞ্জে পরিচয় গোপন করে রোহিঙ্গা দুই বোনকে বিয়ে করে ফেঁসে গেছে দুই ভাই। পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই রোহিঙ্গা নারী ও তাদের দুই শিশু সন্তানসহ ৭জনকে গ্রেফতার করেছে।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ ||

সুনামগঞ্জে পরিচয় গোপন করে রোহিঙ্গা দুই বোনকে বিয়ে করে ফেঁসে গেছে দুই ভাই। পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই রোহিঙ্গা নারী ও তাদের দুই শিশু সন্তানসহ ৭জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতাররা হলেন- চট্টগ্রামের উখিয়া ক্যাম্পের মৃত রোহিঙ্গা ইব্রাহিম আলীর মেয়ে সুপাইয়া বেগম (২০), তার ছোট বোন রুবিনা আক্তার (১৮), তাদের দুই শিশু সন্তান ফরহাদ হোসেন (২), রিফাত হোসেন (১), ভাতিজা সুপাই মিয়া (২২) ও দুই বোনের স্বামী জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রপুর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে ফারুক মিয়া (২৬), তার আপন ছোট ভাই মোবারক হোসেন (২১)।

বুধবার ১৭ই ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টা পর্যন্ত গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে থানায় কোন মামলা হয়নি। তবে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাদেরকে। এরআগে মঙ্গলবার ১৬ই ফেব্রুয়ারি রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিষয়টি এখন সুনামগঞ্জ ও তাহিরপুরের টক অব দ্য টাউন।

এব্যাপারে পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- চট্টগ্রামের উখিয়ার ক্যাম্প থেকে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা মেয়ে সুপাইয়া বেগম পালিয়ে এসে জেলার তাহিরপুর উপজেলার ইন্দ্রপুর গ্রামের ছেলে ফারুক মিয়াকে গোপনে বিয়ে করে। তারই সূত্র ধরে সুপাইয়া বেগমের ছোট বোন রুবিনা আক্তার এখানে আসা যাওয়া শুরু করে। এমতাবস্থায় ফারুক মিয়ার ছোট ভাই মোবারক হোসেনের সাথে রুবিনা বেগমের সম্পর্ক তৈরি হয়। তারপর তাদের দুজনেরও গোপনে বিয়ে হয়। তাদের বিয়ে কোন কাজীর মাধ্যমে রেজিস্ট্রি হয়নি। গ্রামের মসজিদের ইমামের মাধ্যমে বিয়ে হয়েছে। বর্তমানে রোহিঙ্গা দুই বোনের সংসারে দুইটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন- টাংগুয়ার হাওর পাড়ে সন্দেহজনক ঘোরাফেরা করতে দেখে রোহিঙ্গা তরুন সুপাই মিয়াকে স্থানীয়রা আটক করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর মূল তথ্য বেরিয়ে আসে। এরপর অভিযান চালিয়ে ইন্দ্রপুর ও বাগলী শুল্কস্টেশন এলাকা থেকে ফারুক মিয়া, তার ছোট ভাই মোবারক হোসেন ও তাদের দুই রোহিঙ্গা স্ত্রী ও ভাতিজাকে গ্রেফতার করা হয়।

এব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদেরকে বলেন- গ্রেফতার রোহিঙ্গাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ সারাদিন