|| সারাবেলা প্রতিনিধি, রংপুর ||
জেলার দুইশ’র বেশী বাজারে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে সব ধরণের সবজির দাম। একইসঙ্গে বেড়েছে চাল-তেল-পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম। এতে ফের চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা।
শুক্রবার নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকা, রসুন ১১০-১২০ টাকা, মসুর ডাল ১০০-১০৫ টাকা, ফুলকপি ১০-১৫ টাকা, বাঁধাকপি ১০-১২ টাকা, শসা ৩৫-৪০ টাকা, টমেটো ২৫-৩০ টাকা, কাচা পেঁপে ২০-২৫ টাকা, শিম ২২-২৫টাকা, বেগুন ৩৫-৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৭০-৮০ টাকা, ক্ষিরা ২০-২৫ টাকা, লাউ ২৫-৩০ টাকা ও নতুন আলু ১৫-২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগে চলতি মৌসুমে প্রায় ১৮ হাজার ৮শ’ ৯০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত সেচ দেয়ায় ফলনও হয়েছে ভালো। বাজারে ভালো দাম পেয়ে স্বস্তির হাসি ফুটেছিল কৃষকের মুখেও। এছাড়া বাজারে কমদামে তাজা সবজি পেয়ে খুশি হয়েছিলেন ক্রেতারাও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুর জেলায় প্রতিদিন ছোট-বড় দুইশ’র বেশী বাজার বসে। এসব বাজারে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সবজির দাম ছিল ক্রেতাদের হাতের মধ্যেই। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই বাড়তে শুরু করেছে পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলোতে সব ধরণের সবজির দাম। কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়ায় ক্রেতারা বেশ ক্ষুব্ধ।
রংপুর সিটি বাজরের আড়তদার আমজাদ মিয়া জানান, কোনো কারণ ছাড়াই সবজির দাম কেজিপ্রতি ৫-১০ টাকা বেড়ে গেছে। প্রশাসন মনিটরিং না করলে বাজারে সবজির দাম আরও বেড়ে যাবে। একই বাজরের ক্রেতা লুবনা হাসান জানান, দেড় মাসের ব্যবধানে সবজির দাম হয়ে গেছে দেড় গুণ। কাঁচাবাজারে ঢুকলে হিমশিম খেতে হয়।
রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান জানান, সবজির বাজার নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেউ বিনা কারণে বেশি দামে সবজি বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।