|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||
তরুণ ও কিশোরদের মধ্যকার বিরোধে রাজধানীর মুগদার মান্ডাতে খুন হয়েছে ১৬ বছর বয়সী মো. হাসান। শুক্রবার সন্ধ্যায় ছুরিকাহত হাসানকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসান একটি ছাপাখানায় কাজ করতো।
খুনের এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তরুণ মো. বেলালকে আটক করেছে পুলিশ। সেও ছুরিকাঘাতে জখম হয়েছে। বেলালের ভাষ্য, ‘সিনিয়র-জুনিয়র’ নিয়ে বিরোধের জের ধরে খুনের এই ঘটনা ঘটেছে।
মুগদা থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, কিশোরদের মধ্যকার বিরোধে খুনের এ ঘটনা ঘটেছে। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
আটক বেলাল হাসপাতালে দাবি করেন, কয়েক মাস আগে তার সঙ্গে হাসান ও তার বন্ধু সাগরসহ কয়েকজনের বিরোধ হয়। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সে (বেলাল) আশিক, রতন ও মেজুসহ অন্যদের নিয়ে মান্ডার লেটকা ফকিরের গলিতে বেড়াতে যায়। সেখানে তারা হাসানদের মুখোমুখি পড়ে। এক পর্যায়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। ছুরিকাঘাতে সে আহত হয়। তখন তাদের কাছ থেকেই ছুরি কেড়ে নিয়ে হাসানকে আঘাত করেন বেলাল। অন্যদিকে সাগর দাবি করেছেন, বেলাল ও তার সঙ্গীরাই প্রথমে হামলা করে।
এ ঘটনায় বেলাল ছাড়াও উভয়পক্ষের কয়েকজনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
নিহতের বড় ভাই মো. হাবিব জানান, মান্ডা এলাকার ‘ব্যান্ডেজ গ্রুপের’ কয়েকজন হাসানকে এলোপাতাড়ি ছুরিতে খুন করে। আটক বেলাল ওই গ্রুপেরই সদস্য। তবে হত্যার কারণ সম্পর্কে তার কিছু জানা নেই। ভাইয়ের খুনিদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।
স্বজনরা জানান, হাসানের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ভারারা এলাকায়। সে পরিবারের সঙ্গে মান্ডার সাবেদ আলীর ভাড়া বাসায় থাকত। তার বাবার নাম মো. আশরাফুল। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে তৃতীয় ছিল হাসান।