|| বার্তা সারাবেলা ||
সারাদেশে শুরু হলো করোনা টিকাদান কর্মসূচি। রোববার ৭ই ফেব্রুয়ারি সকালে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলাতে জনপ্রতিনিধি ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিরা এই টিকা নেন। আমাদের প্রতিনিধিদের খবর।
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহে করোনা ভ্যাকসিন দেয়া কার্যক্রম শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। রোববার সকালে মহানগরীসহ ১২টি উপজেলার ৫০ টি কেন্দ্রে টিকা দেয়া হয়। সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ অডিটরিয়াম প্রাঙ্গনে সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত ৮টি বুথে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন, বিশিষ্ঠজনসহ নিবন্ধিত ব্যক্তিরা এসব টিকা কেন্দ্র টিকা নেন।
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/02/Mymenshing-300x199.jpg?resize=975%2C647&ssl=1)
এসময় সিটি মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. এ বিএম মশিউল আলম, সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী আনোয়ার হোসেন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এইচ কে দেবনাথসহ রাজনৈতিক সামাজিক ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
শুরুতেই কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন টিকা নেন মেয়র ইকরামুল হক টিটু। পরে বাংলাদেশ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয় ভাইস-চ্যান্সেলর ড. লুৎফুল হাসান, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এহতেশামুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল,বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক ডা: কে আর ইসলাম, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেনসহ অনেকেই টিকা নেন।
সিভিল সার্জন ডা. এ বি এম মসিউল আলম জানান, ময়মনসিংহ মহানগরীসহ জেলার ১৩টি উপজেলায় ১৬টি কেন্দ্রে ৫০টি বুথে টিকা দেয়া হবে। এ পর্যন্ত ১১ হাজার নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম দফায় ৩ লাখ ২৪ হাজার ডোজ টিকা এবং ৩ লাখ ৪০ হাজার অটো ডিজেবল (এডি) সিরিঞ্জ ময়মনসিংহে পৌঁছেছে। সুরক্ষা এপসে নিবন্ধন চলমান রয়েছে। প্রথম দফায় সমগ্র জেলা জুড়ে ১ লাখ ৮ হাজার ব্যক্তির তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। টিকা দেয়া কার্যক্রম সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে ৭০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। প্রতি উপজেলায় ৫ জন করে স্বাস্থ্যকর্মী দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি বুথে দুজন স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে ৪ জন করে স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন। জেলা উপজেলা পর্যায়ে ২ থেকে ৮ ডিগ্রী তাপমাত্রায় অত্যাধুনিক রেফ্রিজারেটরে টিকা সংরক্ষণ করা হচ্ছে। তবে নিবন্ধকারীদের নিবন্ধন সম্পন্ন হবার পর মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়।
মুন্সীগঞ্জ
সারাদেশের মত মুন্সীগঞ্জে জেলায় করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রোববার ৭ই ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলার লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিজে টিকা নিয়ে টিকাদান উপজেলায় কর্মসূচির উদ্ধোধন করেন মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি। মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালসহ ছয় উপজেলায় টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এদিকে, জেলা সদরে প্রথম টিকা নেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি আক্তারুজ্জামন বাপ্পি।
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/02/Emili-300x182.jpg?resize=1086%2C659&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/02/Emili-300x182.jpg?resize=1086%2C659&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/02/Emili-300x182.jpg?resize=1086%2C659&ssl=1)
এছাড়াও এদিন সদর উপজেলায় ১০০ জনসহ বাকি পাঁচ উপজেলায় ১০০ জন করে মোট ৬০০ জনকে এ টিকা দেওয়া হবে।
জেলা সদরে টিকাদান কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন- মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ মৃণাল কান্তি দাস, জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন পিপিএম, সিভিল সার্জন আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
জেলা সিভিল সার্জন আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হবে। জেলা সদর ছাড়া বাকি পাঁচ উপজেলায় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ভালুকা
ময়মনসিংহের ভালুকায় জনপ্রতিনিধিদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নেয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ভ্যাকসিন কার্যক্রম। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ট্রমা সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় ভ্যাকসিন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু এমপি।
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/02/Valuka-300x201.jpg?resize=958%2C642&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/02/Valuka-300x201.jpg?resize=958%2C642&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/02/Valuka-300x201.jpg?resize=958%2C642&ssl=1)
উদ্বোধনের পর সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা খাতুন সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা ভ্যাকসিন নেন। এসময়ে অন্যদের মধ্যে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পিন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান ড. সেলিনা রশিদ, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সোহেলি শারমিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁওয়ে করোনাভাইরাসের প্রথম টিকা নিয়েছেন ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন। রোববার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে আয়োজিত করোনার টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে টিকা নেন তিনি।
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/02/Ramash-300x166.jpg?resize=909%2C503&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/02/Ramash-300x166.jpg?resize=909%2C503&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/02/Ramash-300x166.jpg?resize=909%2C503&ssl=1)
ঠাকেুরগাঁওয়ে দ্বিতীয় টিকা নেন রমেশ চন্দ্র সেনের স্ত্রী অঞ্জলি রাণী সেন। তারপর একে একে টিকা নেন জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম, পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজুর রহমান সরকার, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম স্বপন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম, ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) মাসুদ, প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল লতিফ।
এরআগে শনিবার বিকেল পর্যন্ত ঠাকুরগাঁওয়ে টিকার জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৩ হাজার ২০৫ জন। তাদের মধ্যে এসএমএসের মাধ্যমে ৫৪৮ জনকে টিকা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। যাদের সবাই রোববার টিকা নেন।
সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলায় ৪৮ হাজার করোনাভাইরাসের টিকা এসেছে। জেলার সদর ও উপজেলা পর্যায়ে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার কেন্দ্র ও বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
ফেনী
ফেনীতে আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে। রোববার ৭ই ফেব্রুয়ারি সকালে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে অস্থায়ী বুথে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. গোলাম জাকারিয়া ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মইনুল হোসেন।
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/02/Feni-300x169.jpg?resize=909%2C512&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/02/Feni-300x169.jpg?resize=909%2C512&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/02/Feni-300x169.jpg?resize=909%2C512&ssl=1)
প্রথম টিকা নেন জেলা সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. গোলাম জাকারিয়া, ফেনী জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক আবুল খায়ের মিয়াজী, বিএমএ ফেনীর সাধারণ সম্পাদক ডা. বিমল দাস। টিকা নেয়ার ১০ মিনিট অতিবাহিত হওয়ার পরও কোনো ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত নির্ধারিত কেন্দ্রে টিকা দেয়া হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে দৈনিক সর্বোচ্চ ১৫০ জন মানুষকে টিকা দেয়া হবে। জেলার মোট ২৪ হাজার মানুষকে ৪৮ হাজার ডোজ টিকা দেয়া হবে। এজন্য জেলা জুড়ে ১৯টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম
বিশ্ব মহামারী কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কুড়িগ্রাম ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার ৮ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় জেনারেল হাসপাতালে নবনির্মিত ভবনে সিভিল সার্জন হাবিবুর রহমানের শরীরে প্রথম করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. নবিউর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. জাফর আলী, সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব নীলু, পৌর মেয়র কাজিউল ইসলামসহ অন্যান্যরা।
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/02/Kurigram-300x168.jpg?resize=898%2C503&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/02/Kurigram-300x168.jpg?resize=898%2C503&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/02/Kurigram-300x168.jpg?resize=898%2C503&ssl=1)
অন্যদিকে, জেলার রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। এছাড়াও উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিজের শরীরে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক এমএ মতিন। এসময় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারাসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ । এসময় রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরে তাসনিনসহ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সেখানে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামানের শরীরে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজার মানুষ রেজিস্ট্রেশনের আওতায় এসেছে। প্রথম পর্যায়ে আগামি ১২ দিনের মধ্যে ৩০ হাজার ব্যক্তিকে টিকা দেয়া হবে। জেলায় ৬০ হাজার টিকা মজুদ রয়েছে।
খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়িতেও শুরু হয়েছে করোনার টিকা দেয়া। করোনার টিকা উদ্বোধনী প্রথম টিকা নিয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস। দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে করোনার টিকা নেন খাগড়াছড়ি পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী। তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে নিয়েছেন খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন নুপুর কান্তি দাস। রোববার ৭ই ফেরুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/02/khagrachari-PIC-News-5-300x182.jpg?resize=968%2C587&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/02/khagrachari-PIC-News-5-300x182.jpg?resize=968%2C587&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/02/khagrachari-PIC-News-5-300x182.jpg?resize=968%2C587&ssl=1)
এর আগে ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এতে পার্বত্য চট্টগ্রাম সংরক্ষিত আসনের এমপি বাসন্তী চাকমা,খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান উপস্থিত ছিলেন।
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ এখনো টিকা পায়নি। দেশের মানুষের সুরক্ষার কথা চিন্তা করেই প্রধানমন্ত্রী টিকা আনতে সফল হয়েছেন। ভ্যাকসিন দেয়ার মধ্য দিয়ে মানুষ করোনা মুক্ত থাকবে।
প্রথম ব্যক্তি হিসেবে টিকা গ্রহণ শেষে জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, জেলায় আমি প্রথম টিকা নিয়েছি। এই টিকায় কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নাই। নিজেদের সুরক্ষার জন্য সবার টিকা গ্রহণ করা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
জামালপুর
সারাদেশের মতো জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে করোনার টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার ৭ই ফেব্রুয়ারি সকালে দেশব্যাপী এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামালপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি।
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/02/jamalpur-300x196.jpg?resize=935%2C611&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/02/jamalpur-300x196.jpg?resize=935%2C611&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/02/jamalpur-300x196.jpg?resize=935%2C611&ssl=1)
সম্মুখসারির করোনাযোদ্ধা হিসেবে জামালপুর হাসপাতালের চিকিৎসক ডেপুটি সিভিল সার্জন কেএম শফিকুজ্জামান ও হাসপাতালের সিনিয়র নার্স বৃষ্টি নাগ এবং মোরসালিনা খাতুনকে এই ভ্যাকসিন দেয়ার মাধ্যমে এই কাযর্ক্রমের উদ্ধোধন করা হয়।
এরপর জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রথম টিকা নেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে সংবাদ সারাবেলা ও গাজি টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আলী আকবর, সেই সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও টিকা নেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন, সিভিল সার্জন প্রণয় কান্তি দাস, পৌরসভার মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান, ডেপুটি সিভিল সার্জন কেএম শফিকুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা ও সাংগঠনিক সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন ছানু প্রমুখ।
টিকাদান কর্মসূচি শুরুতেই অগ্রাধিকার পাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সামরিক ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য, রাষ্ট্র পরিচালনায় অপরিহার্য্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যম কর্মী, জনপ্রতিনিধি, পৌরসভার কর্মচারী, ধর্মীয় প্রতিনিধি, মৃতদেহ সৎকারে নিয়োজিত ব্যক্তি এবং জরুরি সেবার (পানি, গ্যাস, পয়ঃনিষ্কাশন, বিদ্যুৎ, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবহন)কর্মী রয়েছে।
সিভিল সার্জন চিকিৎসক প্রণয় কান্তি দাস বলেন, জামালপুর জেলায় বরাদ্দ পাওয়া ৭১ হাজার ৯৯৯ ডোজ করোনার টিকা জামালপুর সদরসহ সাতটি উপজেলায় পাঠানো হয়েছে।
এর মধ্যে বকশীগঞ্জ উপজেলায় ৬ হাজার ৮৭৫ ডোজ, দেওয়ানগঞ্জে ৮ আজার ১০৭ ডোজ, ইসলামপুরে ৯ হাজার ৩৭২ ডোজ, মাদারগঞ্জে ৮ হাজার ৩৭৫ ডোজ, মেলান্দহে ৯ হাজার ৮৩৫ ডোজ, সরিষাবাড়ীতে ১০ হাজার ২১৬ ডোজ এবং জামালপুর সদর উপজেলায় ১৯ হাজার ৩১৬ ডোজ টিকা পাঠানো হয়েছে।
আজ প্রথম ধাপে টিকা দেওয়া হবে অর্ধেক ডোজ, অর্থাৎ ৩৫ হাজার ৯৯৯ জনকে। দ্বিতীয় ধাপ একমাস পর নতুন আরো ৩৫ হাজার ৯৯৯ জনকে টিকা দেওয়া হবে। ফলে প্রথম ধাপের টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হলো ৩৫ হাজার ৯৯৯ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে।
জেলার প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে প্রশিক্ষিত দুইজন করে নার্স ও চার সদস্যের স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে একটি করে টিম টিকা প্রয়োগের কাজে নিয়োজিত থাকবেন। টিকা নেয়ার পর পর্যবেক্ষণ করা সহ করোনার টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
উলিপুর
কুড়িগ্রামের উলিপুরে নিজে করোনার টিকা নিয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক এম এ মতিন। রোববার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্ত্বরে টিকা প্রদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। এর আগে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক এমএ মতিন এমপি।
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/02/Ulipur-Vaccine-Picture-3-300x183.jpg?resize=1069%2C652&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/02/Ulipur-Vaccine-Picture-3-300x183.jpg?resize=1069%2C652&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/02/Ulipur-Vaccine-Picture-3-300x183.jpg?resize=1069%2C652&ssl=1)
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর এ জান্নাত রুমি, অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবির, উলিপুর পৌরসভার নব-নির্বাচিত মেয়র আলহাজ¦ মামুন সরকার মিঠু, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিপা সরদার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মজিদ হাড়ি, উলিপুর বণিক সমিতির সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবা, সাবেক সিভিল সার্জন ডাঃ লোকমান হাকিম প্রমূখ। এছাড়াও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারী,সাংবাদিকসহ সুধিজন উপস্থিত ছিলেন।