|| সারাবেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা ||
ফলন বাড়াতে সমলয় পদ্ধতিতে বোরোর আবাদ শুরু হয়েছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায়। নতুন এই চাষপদ্ধতি কৃষকদের মাঝে বেশ সাড়া জাগিয়েছে। ২৬শে জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ক্লকের চেংমারীতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদ্ধতিতে বোরো রোপণ উদ্বোধন করা হয়।
সমলয় পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি না করে প্লাস্টিকের ফ্রেম বা ট্রেতে বীজ বপন করা হয়। এতে ৩:২ অনুপাতে মাটি ও গোবরের মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়। এরপর বীজ ছিটিয়ে পুনরায় অর্ধেক মাটি ও গোবর মিশ্রণ দিয়ে সমতল জায়গায় রেখে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখা হয়। বীজতলা তৈরির ৩ দিনের মধ্যে অঙ্কুর বের হয়। ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে চারা বেড়ে ওঠে। পরে রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের মাধ্যমে চারা রোপণ করা হয়।
কৃষি বিভাগ বলছে, মানুষ বাড়লেও, বাড়ছে না কৃষি জমি। তাই কম জমিতে বেশী ধান উৎপাদন করে মানুষের খাদ্যচাহিদা পূরণ করতে হবে- কৃষি মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় প্রথমবারের মতো সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষাবাদ শুরু করা হয়েছে।
স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে সরকারি কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায় কৃষকরা নতুন মাত্রায় ট্রেতে বীজতলা তৈরি শুরু করছিলেন। তারা মেশিন দিয়ে মাটিভর্তি ট্রেতে বপন করেন ইস্পাহানি-৭ হাইব্রিড জাতের ধানবীজ। সেই বীজের চারা দিয়ে রোপন করা হচ্ছে সমলয়ে চাষ।
চেংমারি গ্রামের কৃষক মেহেদী হাসান বলেন, সমলয় পদ্ধতিকে এরআগে কখনও বোরো ধান করা হয়নি। কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় এই প্রথম রোপন করা হচ্ছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়তো ভালো ফলন পাওয়া যাবে।
দক্ষিণ শ্রীপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনজুরুল হক রাজীব জানান, সমলয় পদ্ধতিতে বোরোচাষে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ ও সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ বলেন, একযোগে কৃষকের ফসল উৎপাদন করার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকরা বেশি ফলন পাবে। প্রাথমিকভাবে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৫০ একর জমিতে এ পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষ করা হচ্ছে। আশা করছি ভালো ফল পাওয়া যাবে।
