|| সারাবেলা প্রতিনিধি, সিলেট ||
সিলেটের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক চৌধুরী মুমতাজ আহমদসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গত ৪ ডিসেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়েরের প্রতিবাদে সংক্ষুব্ধ নাগরিকবন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
সোমবার ২১শে ডিসেম্বর বিকেলে নগরের চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
উক্ত কর্মসূচিতে চৌধুরী মুমতাজ আহমদসহ সকল সাংবাদিকদের ওপর থেকে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমে স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ জানানো হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি আল আজাদ, সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, দৈনিক প্রথম আলো’র সিলেট আঞ্চলিক কার্যালয়ের নিজস্ব প্রতিবেদক উজ্জ্বল মেহেদী, সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের সংগঠক দেবাশীষ দেবু. দৈনিক আমার সংবাদ’র সিলেট ব্যুরো মুহাজিরুল ইসলাম রাহাত, গণমাধ্যমকর্মী জামিল আহমদ, সুলতান সুমন, মামুন হোসেন, আমিনুল ইসলাম রুকন, আনিস মাহমুদ, মিঠু দাস জয়, লিটন চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম সবুজ, তুহিন আহমদসহ পরিবেশকর্মী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
পরিবেশ কর্মী আব্দুল হাই আল হাদী’র সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্যে সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল করীম ক্বীম বলেন, সংবাদ প্রকাশে ভুল থাকতে পারে। আপত্তি থাকতে পারে। প্রকাশিত সংবাদে কেউ অসন্তুষ্ট হতে পারে। মানহানি বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে মনে করা হলে মানহানির মামলা কিংবা প্রেস কাউন্সিলে নালিশ করা যেতে পারে। কিন্তু ওসব না করে একটি সংবাদ সামাজিক যোযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করার অভিযোগ দিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা অহেতুক হয়রানির। এই হয়ারানিমূলক মামলা দায়েরে করায় ও সেই মামলা গ্রহণ করায় আমরা বিষ্ময় প্রকাশ করছি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এমন অপপ্রয়োগে আমরা সংক্ষুব্ধ।
সিলেট জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আল আজাদ বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে। আমরা সত্যকে সত্য বলছি, মিথ্যাকে মিথ্যা বলছি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাশের সময় বলা হয়েছিলো এই আইনের অপপ্রয়োগ হবে না। তবে গণমাধ্যম কর্মীদের বিরুদ্ধেই এই আইনের অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের অহেতুক হয়রানি করে লাভবান হওয়া যায় না। এই আইনে সিলেটের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকসহ যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। যদি আইনের সঠিক প্রয়োগ হয় তাহলে এই মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হবে।
সিলেট জেলা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি হয়রানিমূলক। যে কোনো আইন দেশের নাগরিকদের কল্যানের কথা ভেবে করা হোক। বিশেষ করে সংবাদকর্মীদের হয়রানি করার কারণেই এই আইনটি করা হয়েছে। যে আইনের মাধ্যমে মানুষের কল্যান হয়, রাষ্ট্রের কল্যান হয় সেই আইন করা হোক। মামলা হামলা দিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের থামিয়ে রাখা যাবে না।
সিলেটের জ্যেষ্ঠ সাংবাদি চৌধুরী মামুতাজ আহমদের সম্পানায় সিলেটে থেকে প্রকাশিত স্থানীয় দৈনিক একাত্তরে কথায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশে ও প্রকাশিত প্রতিবেদন ফেসবুকে শেয়ার করায় গত ৪ ডিসেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এতে আসামি করা হয়েছে, সিলেটের দৈনিক একাত্তরের কথার সম্পাদক চৌধুরী মুমতাজ আহমদ, প্রকাশক মো. নজরুল ইসলাম, প্রতিবেদক সাঈদ চৌধুরী, জিকরুল ইসলাম, মো. মুহিত, ‘অ্যাডমিন’ (পত্রিকার প্রশাসনিক কর্মকর্তা) আহমদ মারুফসহ ১৮ জনকে।