সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে কোনোভাবেই ছোবল মারতে দেবে না সরকার

“কোনো ধর্মে উগ্রবাদ সমর্থন করে না। ধর্মের ভিত্তিতে কোনো রাষ্ট্র হতে পারে না। অসাম্প্রদায়িক চেতনার ভিত্তিতে বাংলাদেশ রচিত হয়েছে এবং চেতনাকে আমরা ভূলুণ্ঠিত হতে দিতে পারি না “

|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||

ধর্মের ভিত্তিতে কোনো রাষ্ট্র হতে পারে না জানিয়ে সরকারের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “অসাম্প্রদায়িক চেতনার ভিত্তিতে বাংলাদেশ রচিত হয়েছে। এই চেতনাকে আমরা ভূলুণ্ঠিত হতে দিতে পারি না।”

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে কোনোভাবেই ছোবল মারার সুযোগ দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগ মনে করে আমাদের প্রথম পরিচয় বাঙালি। পরের পরিচয় কে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান। বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল আগে ধর্মীয় পরিচয়টা বড় করে দেখে। এরপর বাঙালি না বাংলাদেশি, সেই দ্বন্দ্বে আছেন তারা। এখানেই হচ্ছে আমাদের সাথে তাদের পার্থক্য।”

শুক্রবার সন্ধ্যায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার প্রয়াত মেজর জেনারেল সি আর দত্ত বীর উত্তম এর স্মরণসভায় তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বিনাশ হয়নি। সেই কারণেই মাঝে মধ্যে সেই অপশক্তি ফনা তোলে ছোবল তোলার জন্য।

মুক্তিযুদ্ধের সম্মিলত শক্তিকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “যেই সম্মিলিত শক্তির মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছে সেই শক্তির কাছে অপশক্তি সবসময় পরাজিত হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে। তাদের কখনও মাথা তুলে ছোবল মারার সুযোগ দেওয়া যায় না।”

তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, “কোনো ধর্মে উগ্রবাদ সমর্থন করে না। ধর্মের ভিত্তিতে কোনো রাষ্ট্র হতে পারে না। অসাম্প্রদায়িক চেতনার ভিত্তিতে বাংলাদেশ রচিত হয়েছে এবং চেতনাকে আমরা ভূলুণ্ঠিত হতে দিতে পারি না “

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে তিনি এও বলেন, “যদিও সময়ে সময়ে গুজব রটিয়ে সাম্প্রদায়িক হানাহানি সৃষ্টি করা হয়। সরকার সেটি কঠোর হাতে দমন করেছে। ভবিষ্যতেও কঠোরভাবে দমন করা হবে। আমরা মনে করি একটি বৃহৎ ধর্মীয় গোষ্ঠীকে শত্রু সম্পত্তি আইন করে শত্রু আখ্যা দিয়ে রাষ্ট্র এগিয়ে যেতে পারে না। সেজন্যই এই আইনের পরিবর্তন করা হয়েছে। এই আইনের বলে যে হয়রানিগুলো করা হয়েছিল, যে জমিগুলো দখল করা হয়েছিল, সেগুলোকে ফিরিয়ে আনার জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে, আদালত গঠন করা হয়েছে এবং কাজ চলছে।”

প্রয়াত সি আর দত্ত বীর উত্তমকে স্মরণ করে হাছান মাহমুদ বলেন, “তিনি ছিলেন সাহসী, সৎ অসাম্প্রদায়িক, নিরহংকার এবং সবাইকে আপন করে নেওয়ার আশ্চর্য ক্ষমতা তার ছিল।”

হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উষাতন তালুকদার, ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, নির্মল রোজারিও, সাংবাদিক স্বপন কুমার সাহা, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত, সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি বক্তব্য রাখেন।

সংবাদ সারাদিন