|| বার্তা সারাবেলা ||
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু আর স্বপ্ন নয়। মানুষ যেয়ে নিজের চোখে দেখে আসছে পদ্মা সেতু। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার তিন কোটি মানুষের যাতায়াত, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, ব্যবসা-বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর নির্মাণের ফলে যেভাবে উত্তর অঞ্চল থেকে মঙ্গা দূর হয়েছে। পদ্মা সেতুও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।
রোববার ১৩ই ডিসেম্বর ঢাকায় শিশু একাডেমি মিলনায়তন থেকে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলায় বাস্তবায়িত “উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর, বিশেষত নারীদের, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত লবণাক্ততা মোকাবেলায় অভিযোজন সক্ষমতাবৃদ্ধিকরণ” প্রকল্পের কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার উপকূলীয় অঞ্চলের নারীদের জীবিকা ও কর্মসংস্থানকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে। অভিযোজন সক্ষমতাবৃদ্ধিকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে উপকূলীয় অঞ্চলের নারীদের জলবায়ু সহিষ্ণু জীবিকায়ন হবে। তাদের জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। বছরজুড়ে নিরাপদ ও সুপেয় পানি সরবারহ নিশ্চিত করা যাবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের কারণে বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীর জলবায়ু সহনশীল জীবিকা এবং পানীয় জলের সমাধানের জন্য বাংলাদেশ সরকার, গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড এবং ইউএনডিপি এর সহায়তায় “উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর, বিশেষত নারীদের, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত লবণাক্ততা মোকাবিলায় অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ’’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। উপকূলীয় দরিদ্র মানুষের জলবায়ুর অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে উক্ত প্রকল্প নিশ্চিতভাবে সহায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পারভীন আকতার এবং খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
এছাড়া কর্মশালায় বিভিন্ন প্রকল্পের সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ইউএনডিপির প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও এনজিও প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।