|| সারাবেলা প্রতিনিধি, টেকনাফ (কক্সবাজার) ||
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য নিয়ে আবারও দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে চারজন নিহত হয়েছে।
রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, ক্যাম্পে ইয়াবা পাচার, চাঁদাবাজি, অপহরণ, আধিপত্য নিয়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মুন্না বাহিনীর সাথে আরেক সন্ত্রাসী বাহিনীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। মঙ্গলবার ৬ই অক্টোবর সন্ধ্যায় দুই গ্রুপ ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ১ ঘন্টা উভয় গ্রুপের মাঝে থেমে থেমে গোলাগুলি হয়। ভারি অস্ত্রের পাশাপাশি দেশীয় অস্ত্র নিয়েও দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ৪ জন নিহত হয়।
নিহতরা সবাই রোহিঙ্গা শীর্ষ সন্ত্রাসী মুন্না গ্রুপের সদস্য। সেখানে আরেক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের গণধোলাইয়ে মুন্নার ভাই গিয়াস উদ্দিনও মারা গেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এপিবিন অধিনায়ক আতিকুর রহমান। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, ৪ঠা অক্টােবর ভোরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ইমাম শরীফ (৩৩) ও শামসুল আলম (৪৫) নামের দুইজন নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয় আরো অন্তত দশজন। সেই সংঘর্ষের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সংঘর্ষ হলো। দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের কারণে পুরো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক ও উদ্বেগ।
এদিকে গত কয়েক দিনের গোলাগুলি ও খুনের ঘটনায় প্রাণ বাঁচাতে কয়েক’শ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু কুতুপালং ক্যাম্প ছেড়ে অন্য ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে ক্যাম্পের ভেতরে অনেক দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। রোহিঙ্গা শিবিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে বলে রোহিঙ্গা নেতারা জানিয়েছেন।