চাষাঢ়া টু সাইনবোর্ড ২০ টাকার ভাড়া ৩০ টাকা !

করোনার জন্য ভাড়া ১০ টাকা বাড়িয়ে ৩০ টাকা করে ৩জন যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতো সিএনজিগুলো। তবে সরকার ১লা সেপ্টেম্বর থেকে আগের ভাড়ায় গণপরিবহন চলাচলের নির্দেশ দিলেও তা মানছে না চাষাঢ়া টু সাইনবোর্ড রুটে চলাচলকারী সিএনজি অটোরিকশা চালকরা।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ||

করোনার শুরু থেকে ৬০ শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়া ও সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে গণপরিবহন চলাচলের আদেশ দিয়েছিল সরকার। সেসময় সিএনজি অটোরিকশাগুলো ভাড়া বাড়িয়ে ৫ জনের স্থলে ৩ জন যাত্রী নিয়ে চলাফেরা করতো। নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড পর্যন্ত ভাড়া ছিল জনপ্রতি ২০ টাকা। করোনার জন্য ভাড়া ১০ টাকা বাড়িয়ে ৩০ টাকা করে ৩জন যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতো সিএনজিগুলো। তবে সরকার ১লা সেপ্টেম্বর থেকে আগের ভাড়ায় গণপরিবহন চলাচলের নির্দেশ দিলেও তা মানছে না চাষাঢ়া টু সাইনবোর্ড রুটে চলাচলকারী সিএনজি অটোরিকশা চালকরা।

সরেজমিন দেখা যায়, চাষাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত জনপ্রতি ৩০টাকা করে কখনো ৫ জন, আবার কখনো ৩ জন যাত্রী নিয়ে ইচ্ছেমত ভাড়া হাঁকিয়ে যাত্রীদের গন্তব্যে যেতে বাধ্য করছে। যাত্রীদের অভিযোগ, বাড়তি ভাড়া আদায় করতে নানা কৌশলে নৈরাজ্য চালাচ্ছে সিএনজি চালকরা।

ফতুল্লার রঘুনাথপুরের যাত্রী আলআমীন জানান, একটু দ্রুত বাড়ি যেতে সিএনজিতে যাতায়াত করি। কিন্তু ভাড়া নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় নিয়মিত। সরকার আগের ভাড়া নিতে বললেও তারা মানছে না। সিএনজির পিছনের সিটে ৩ জন যাত্রী নিয়েছে, সামনে আরও ২জন নিবে কিন্তু ভাড়া বলছে ৩০টাকা। এভাবে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে চলাফেরা আমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে যায়।

সাইনবোর্ডের সাথী আক্তার জানান,  করোনায় এমনিতে সবার আর্থিক অবস্থা তেমন ভাল নেই। এর মধ্যে নানা অজুহাতে আমাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে সিএনজি-অটোরিকশাগুলো। প্রতিবাদ করেও কোনো লাভ হয় না। আমাদের প্রয়োজনে বাধ্য হয়েই গন্তব্যে পৌঁছতে হয়। অনেক সময় শিবুমার্কেট, জালকুড়ি, ভূইগড়ে যানজটের কথা বলে দ্বিগুণ ভাড়া নেয় তারা।

যাত্রীদের অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নাম প্রকাশে করতে অনিচ্ছুক এক সিএনজি চালক বলেন, ভাড়া আমরা যা, তাই নেই । কেউ গেলে যাইবো, না গেলে যাইবো না। যানজটের কথা বলে দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাড়ি নিয়া ১ ঘন্টা বইসা থাইক্কা গ্যাস শেষ হয়ে যায়। এর ক্ষতিপূরণ কেডায় দিবো? আমগো না পোষাইলে কাউরে জোর করিনা যাওনের লাইগগা। 

এদিকে, জণসাধারনের চলমান এ দূর্ভোগের বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে মনে করছেন নাগরিক কমিটির সভাপতি এবি সিদ্দিকি। তিনি বলেন, সরকার সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেই ভাড়া কমিয়ে দিলেও সিএনজি চালকেরা তা মেনে চলছে না। বিআরটিএ ও পুলিশ প্রশাসন যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ বলে মনে করি। তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে এমনটা হতো না। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই, সংশ্লিষ্টরা যথাযথ মনিটরিং করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবে বলে আশা করছি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন